সুনামগঞ্জের সুরমা ইউনিয়নে ছড়িয়ে পড়েছে গরুর ক্ষুরা রোগ। সংক্রমণশীল এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে অন্তত তিন শতাধিক গরু। আক্রান্ত গরুর মালিকদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে কোনো ধরনের চিকিৎসা না পাওয়ায় বেড়েই চলেছে এ সংক্রমণ। এদিকে, প্রাণিসম্পদ অফিসের কর্মকর্তারা জানান, ভ্যাকসিন ও লোকবল সংকটের কারণে তারা কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে পারছেন না।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের বানীপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল বারেক, রফিক মিয়া, আব্দুল বাতেন, আব্দুল মতিন, জামাল উদ্দিনসহ শতাধিক কৃষকের গরু সংক্রমণশীল ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়া, একই ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর, ঢালারগাঁও, বাঘমারা, নলুয়া, রাজানগর, সৈয়দপুর বেরিগাঁওসহ ১০টি গ্রামের অন্তত দুই শতাধিক কৃষকের গরুও এ রোগে আক্রান্ত। এতে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষক ও খামারিরা।
ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ করে বলেন, চিকিৎসার অভাব ও অসচেতনতার কারণে প্রতিদিনই আক্রান্ত গরুর সংখ্যা বাড়ছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকেও কোনো ধরণের সহযোগিতা পাননি তারা।
এদিকে, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান বলেন, এবারের ক্ষুরারোগের ভাইরাস আগের চেয়ে বেশি সংক্রামক ও শক্তিশালী।
আর এ জনপ্রতিনিধি বললেন, গরুর এ রোগ দেখা দেয়ায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন এলাকার দরিদ্র কৃষক ও খামারিরা।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের কর্মকর্তা বলেন, ক্ষুরারোগের ভ্যাকসিন ও জনবল সংকটের কারণে তারা কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে পারছেন না।
জেলা প্রাণিসম্পদের তথ্যানুযায়ী, সদর উপজেলায় ৫৮ হাজার ২২০টি গরু এবং ২ হাজার ২৫০টি মহিষ রয়েছে। প্রাণিসম্পদ অফিসের সহায়তা না পাওয়া এবং চিকিৎসা ব্যয় বেশি হওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন খামারি ও কৃষকেরা। তাই দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।