কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতে বেশি করে বিনিয়োগের জন্য দেশের বেসরকারি শিল্পোক্তাদের আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, দেশে এখন সারা বছরই বিভিন্ন কৃষিপণ্য উৎপাদিত হচ্ছে। টমেটো, আনারস, আলুসহ বেশির ভাগ কৃষিপণ্যের ভরা মৌসুমে দাম কম থাকে। অনেকক্ষেত্রে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব পণ্যের প্রক্রিয়াজাত করতে পারলে কৃষকেরা লাভবান হবে। সেজন্য, দেশের বেসরকারি শিল্পোক্তাদেরকে প্রক্রিয়াজাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে হবে।
গতকাল শুক্রবার ঢাকার তেজগাঁওয়ে দীপ্ত টেলিভিশন ভবনে ‘এসিআই দীপ্ত কৃষি অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এখনো বেশির ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। কৃষির উন্নয়ন হলেই দেশের সার্বিক উন্নয়ন আরো ত্বরান্বিত হবে। গ্রামীণ মানুষের কর্মসংস্থান ও আয় বৃদ্ধি এবং অভ্যন্তরীণ বাজার বিস্তৃত হওয়ার মাধ্যমে শিল্পায়ন আরো ত্বরান্বিত হবে। তিনি বলেন, কৃষিখাতে পুরস্কার প্রদান একটি মহৎ উদ্যোগ। আজকে ১০ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেয়া হয়েছে। কিন্তু এর মাধ্যমে দেশের লাখ লাখ কৃষক, চাষি ও উদ্যোক্তারা কৃষিকাজে আরো উৎসাহিত হবে।
‘এসিআই দীপ্ত কৃষি অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ অর্জন করেছে ৯ ব্যক্তি ও ১ প্রতিষ্ঠান। সেরা শস্য উৎপাদনকারী কৃষক হয়েছেন ফেনীর আবু ছায়েদ রুবেল। চট্টগ্রামের হাসান চৌধুরী সাগর সেরা খামারি (গরু, ছাগল, মহিষ), কক্সবাজারের নয়ন সেলিনা সেরা খামারি (পোলট্রি) ও খুলনার মামুনুর রশিদ সেরা খামারি (মৎস্য) ক্যাটাগরিতে পদক পেয়েছেন। সেরা সবজি চাষি হয়েছেন হবিগঞ্জের বদু মিয়া। সেরা ফল চাষী হয়েছেন চাঁপাই নবাবগঞ্জের মতিউর রহমান।
বগুড়ার ‘ স্বপ্ন ছোঁয়া সিঁড়ি’ সমবায় সেরা সামাজিক/সমবায় বিভাগে ও নওগাঁর জাহাঙ্গীর আলম শাহ সেরা কৃষিশিক্ষা প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তি বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন। তাছাড়া গাইবান্ধার নজরুল ইসলাম সেরা কৃষি উদ্ভাবক ও সাভারের কোব্বাদ হোসাইন সেরা কৃষি উদ্যোক্তা হয়েছেন।
কৃষিকাজের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে উৎসাহ ও সম্মাননা জানাতে প্রথমবারের মতো এই কৃষি পদক প্রদান করেছে। কৃষি উদ্যোক্তা, উদ্ভাবক, গবেষক, কৃষক ও খামারিদের মোট ১০টি ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে।