পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিপনি বিতানে চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা। জেলা শহরের নিউ মার্কেট, হকার্স মার্কেট, পৌর আধুনিক মার্কেট, সমবায় মার্কেট, সড়ক বাজারসহ বিভিন্ন অভিজাত বিপনি বিতান ক্রেতাদের ভিড়ে ঠাসা। নারী, পুরুষ, শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী ক্রেতারা আসছেন নতুন কাপড়সহ প্রয়োজনীয় পোশাক পরিচ্ছদ কিনতে।
ক্রেতারা জানান, দোকানগুলোতে বাহারি কাপড়-চোপড়ের সংগ্রহ থাকলেও লকডাউনের কারণে এবার পোশাকের দাম কিছুটা বেশি। তবে ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছর লকডাউনে দোকান পুরোপুরি বন্ধ থাকায় লোকসান গুনতে হয়েছে তাদের। এ বছর লকডাউন শিথিল করায় ব্যবসা মোটামুটি ভাল। তবে, দোকান খোলার সময় কিছুটা বাড়ানো হলে একদিকে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার পাশাপাশি ক্রেতাদের অতিরিক্ত ভিড় রোধ করা যেত।
এদিকে, সরকারি নির্দেশনা মেনে মার্কেট খোলা ও বন্ধ করা হলেও মানা হচ্ছে না কোনো স্বাস্থ্যবিধি। ক্রেতা-বিক্রেতাদের অধিকাংশেরই মুখে নেই মাস্ক। এছাড়া বেশিরভাগ মার্কেটগুলোতে নেই প্রয়োজনীয় স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা। সে সাথে মানা হচ্ছে না শারীরিক দুরত্বও।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রইছ উদ্দিন জানান, ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তার সার্বিক ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারী মার্কেটগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব মানার ক্ষেত্রে এ ধরনের উদাসীনতার ফলে জেলায় করোনার সংক্রমণ আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে শঙ্কা সচেতন মানুষের।