গাজার উত্তরাঞ্চলীয় জাবালিয়ায় চলমান লড়াই আরও তীব্র হয়েছে। শুক্রবার (১৭ মে) সেখানে হামলা আরও জোরদার করেছে ইসরায়েল। সেখানে ট্যাংক-বুলডোজার নিয়ে প্রবেশ করে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে সেনারা। ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সুড়ঙ্গপথের কাছে সশস্ত্র যোদ্ধাদের সঙ্গে তীব্র লড়াই করছে তারা। এদিকে, গাজা দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরেও লড়াই চলছে। সেখানে প্রবেশ করা ইসরায়েলি ট্যাংকগুলোতে হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র যোদ্ধারা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
গাজার আটটি শরণার্থী শিবিরের মধ্যে সবচেয়ে বড় জাবালিয়া শরণার্থী শিবির। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, জাবালিয়ায় ইসরায়েলি বাহিনী প্রবেশ করেছে। পথিমধ্যে বুলডোজার দিয়ে বাড়িঘর ও দোকানপাট পিষে দিয়েছে তারা।
পূর্ব জাবালিয়ার এক বাসিন্দা আয়মান রজব একটি মেসেজিং অ্যাপে রয়টার্সকে বলেছেন, ‘ট্যাংক ও বিমানগুলো আবাসিক জেলাসহ বাজার, দোকানপাট ও রেস্তোরাঁ সবকিছু পিষে দিচ্ছে।
অক্টোবরে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। যুদ্ধ শুরুর প্রথম কয়েক মাসের মাথায় জাবালিয়াকে হামাস মুক্ত করার দাবি করেছিল তারা। তবে গত সপ্তাহে সেখানে আবারও হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের দাবি, সশস্ত্র যোদ্ধাদের সেখানে পুনরায় একত্রিত হতে শুরু করেছে। তাই তাদের রুখতে জাবালিয়ায় আবারও হামলা শুরু করেছে তারা।
মিসরের সীমান্তবর্তী গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহর আকাশে কালো ধোয়া উঠতে দেখা গেছে। সেখানে হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে তীব্র লড়াই করছে ইসরায়েলি সেনারা। শহরটিতে হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিচ্ছেন।
আড়ও পড়ুন: ভারতে তীর্থযাত্রী বহনকারী চলন্ত বাসে আগুন, নিহত ৮
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয়ের মুখপাত্র জেনস লার্ক বলেছেন, ‘মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে এবং তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।’
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক অধিকাংশ মানুষই উত্তরে উপকূলের দিকে সরে যাচ্ছেন। তবে সেদিকে যাওয়ার জন্য না আছে নিরাপদ কোনও পথ, না আছে গন্তব্য।
যুদ্ধ তীব্র হওয়ার মধ্যেই গাজায় প্রথমবারের মতো ভাসমান বন্দর দিয়ে ত্রাণ প্রবেশের কথা জানিয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনী।
ভাসমান এই বন্দর দিয়ে গাজায় খাদ্য, পানি, আশ্রয় ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পৌঁছাবে বলে আশা করছে দ্য ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম। সংস্থাটি জানিয়েছে, মধ্য গাজার দেইর আল বালাহ’র গুদামে ত্রাণ পাঠানো হয়েছে। সেগুলো বিতরণের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।