ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করতে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর দুজন এজেন্টকে নিয়োগ দেয় ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মে মাসে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তার শেষকৃত্যে অংশ নিতে ওই মাসে হানিয়া যখন ইরানে যান, তখনই হত্যার পরিকল্পনা করা হয় তাকে। তবে ভিড় থাকায় তখন সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
ইরানের দুজন কর্মকর্তা এক সাক্ষাৎকারে দ্য টেলিগ্রাফকে জানায়, প্রথমবার হানিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা ভেস্তে গেলে তা পরিবর্তন করা হয়। দ্বিতীয়বারের পরিকল্পনায় ইরানি নিরাপত্তা বাহিনীর দুই এজেন্ট মোসাদের নির্দেশনা অনুযায়ী, ইসলামী বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) গেস্টহাউসের একাধিক কক্ষে বোমা পেতে রাখেন। হানিয়া ওই রুমেই উঠতে পারেন বলে তাদের ধারণা ছিল।
সিসিটিভি ফুটেজের বরাত দিয়ে টেলিগ্রাফ জানায়, ওই এজেন্টরা গেস্টহাউসটিতে গোপনে চলাচল করছিলেন। তাদেরকে কয়েক মিনিটের মধ্যে একাধিক কক্ষে প্রবেশ করতে দেখা যায়।
বোমাগুলো পেতে রাখার পর ওই এজেন্টগুলো ইরান থেকে পালিয়ে যান। তবে তারা তেহরানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। পরে গত বুধবার (৩১ জুলাই) ভোরের দিকে হানিয়ার রুমের বোমাগুলো বিস্ফোরিত হয়।
এর আগে আইআরজিসির দুই কর্মকর্তা জানান, ২০২০ সালে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাকরিজাদেহকে নিখুঁতভাবে রিমোট কন্ট্রোল মেশিনগান দিয়ে হত্যা করেছিল। এবারও একইভাবে হানিয়াকে হত্যা করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার ইরানের রাজধানী তেহরানে দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিনের শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেন হানিয়া। এরপর বুধবার ভোরের দিকে তিনি এবং তার দেহরক্ষী হত্যার শিকার হন।