ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নতুন রাজনৈতিক প্রধান হিসেবে গাজা নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) একটি বিবৃতিতে এই ঘোষণা দিয়েছে গোষ্ঠীটি। গত সপ্তাহে তেহরানে নিহত হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়েহ’র উত্তরসূরি হবেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বিধ্বংসী হামলা চালায় হামাস। এই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী সিনওয়ার। গাজায় আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই তাকে হত্যা প্রচেষ্টা করে আসছে ইসরায়েল।
একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে হামাস জানায়, ‘ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস কমান্ডার ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে আন্দোলনের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করারা ঘোষণা দেওয়া হলো। শহীদ কমান্ডার ইসমাইল হানিয়েহ’র ওপর আল্লাহ রহম করুন।’
মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় আলোচনার সঙ্গে পরিচিত এক আঞ্চলিক কূটনীতিক বলেন, ‘এই নিয়োগের অর্থ, গাজা যুদ্ধের সমাধানের জন্য ইসরায়েলকে সিনওয়ারের মুখোমুখি হতে হবে। গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করা এবং ১১৫ ইসরায়েলি জিম্মিকে নিজ দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে মধ্যস্থতাকারীরা আলোচনা করছে।
সিনওয়ার তার যৌবনের অর্ধেক সময়ই ইসরায়েলি কারাগারে পার করেছেন। হানিয়েহকে হত্যার পর জীবিত থাকা সবচেয়ে শক্তিশালী হামাস নেতা তিনি। হানিয়েহকে হত্যার পর কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় ইরান। এতে করে এই অঞ্চলটিকে একটি বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘাতের ঝুঁকি আরও তীব্র হয়ে ওঠেছে। তবে এই হত্যার দায় স্বীকার করেনি ইসরায়েল। তারা বলেছে, সেনারা বৈরুতে নিহত হামাসের ডেপুটি লিডার সালেহ আল-আরোরি এবং হামাসের সামরিক কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফসহ অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের হত্যা করেছে।