পশ্চিমবঙ্গ ‘ছাত্র সমাজ’-এর ডাকে নবান্ন অভিযান শুরু হয়েছিল, যার অন্যতম মুখ ছিলেন সায়ন লাহিড়ী। অভিযোগ ওঠেছে সেই সায়নকে নাকি পুলিশ ‘তুলে নিয়ে গেছে। মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) দিনভর অভিযানের পর সন্ধ্যায় একটি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেখা গিয়েছিল সায়নকে।
তবে রাতে দাবি করা হয়, সায়নকে পুলিশ আটক করেছে। এ নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হন। তবে সায়নকে পুলিশ আটক বা গ্রেফতার করেছে কিনা এ নিয়ে মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত রাজ্য বা কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এক পোস্টে সুকান্ত লেখেন, ‘আজকের নাগরিক আন্দোলন দেখে কেঁপে ওঠেছে নবান্ন। কর্মসূচি মিটতেই শুরু হয়ে গেলো আরও এক দফা ধরপাকড়। পুলিশ তুলে নিয়ে গেলো পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের অন্যতম মুখ সায়ন লাহিড়ীকে। পুলিশ দিয়ে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করা যাবে না।’
নবান্ন অভিযানের পরপরই কলকাতা পুলিশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ২১টি ছবি প্রকাশ করেছিল। সেখানে পুলিশের ওপর হামলাকারী বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়। ক্যাপশনে লিখা ছিল, ‘সন্ধান চাই: নীচের ছবিতে যাদের চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের সন্ধান জানা থাকলে অনুরোধ, জানান আমাদের, সরাসরি বা আপনার সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে।’
এদিকে, মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযানের আবহে দুইশোর বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে যাদের অধিকাংশই পুরুষ। কয়েকজন নারীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়।
পুলিশ জানায়, নবান্ন অভিযানে মোট ২২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুধু কলকাতা পুলিশের হাতেই গ্রেফতার হয়েছেন ১২৬ জন। তাদের মধ্যে ১০৩ জন পুরুষ এবং ২৩ জন নারী। রাজ্য পুলিশের হাতে ধৃতের সংখ্যা ৯৪। নবান্ন অভিযানে মোট ১৫ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন।