মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরপরই এই বৈঠক ডাকা হলো।
স্থানীয় সময় বুধবার (০২ অক্টোবর) সকাল ১০টায় নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে এই বৈঠকটি হওয়ার কথা রয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদকে লেখা চিঠিতে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন জানান, ইসরায়েলকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে ইরান। এই অভিযোগ তুলে ইরানের নিন্দা এবং দেশটির ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসকে (আইআরজিসি) একটি ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তবে ইরানের দাবি, গাজা উপত্যকায় ও লেবাননে ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের প্রতিশোধ এবং হামাস, হিজবুল্লাহ ও আইআরজিসির নেতাদের গুপ্তহত্যার জবাবে তারা ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ১৮০টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। এ হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে ইসরায়েল সরকার। নিরাপত্তা সংক্রান্ত নানা ব্যবস্থা নেয় তারা।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মুখে ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা জরুরি বাংকারে আশ্রয় নিয়েছে। সেখানেই বৈঠক করেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বৈঠক শেষে ইরানকে সতর্ক করে বলেছেন, ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য চড়া মূল্য চোকাতে হবে।
আলজাজিরার খবর অনুযায়ী, ইরানের হামলার কয়েক ঘণ্টা পর প্রথমবারের মতো বক্তব্য দিয়েছেন নেতানিয়াহু। তিনি কার্যত পশ্চিম জেরুজালেমের ভূগর্ভস্থ একটি বাংকারে নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠক করছিলেন।
নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরান বড় ভুল করেছে এবং এর জন্য তাদের চড়া মূল্য দিতে হবে। ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যের যেকোনো স্থানে তার শত্রুদের আঘাত করবে; তা গাজা, লেবানন, ইরান, ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন- যেখানেই হোক এবং এই তালিকা আরও বড় হতে পারে।
তিনি বলেন, ইসরায়েলিদের পাল্টা আঘাত তাদের নির্বাচিত সময় ও স্থানে দেয়া হবে। অবশ্য এমন কথা ইরানের হামলার পর থেকেই ইসরায়েলের সামরিক ও রাজনৈতিক মহল থেকে শোনা যাচ্ছে। তারা বলছেন, নেতানিয়াহু জবাবের নির্দেশনা দিলে পাল্টা হামলা হবে। তবে এবারের হামলা জবাব না দিয়ে ছাড় দেয়া হবে না।