গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে মৃত্যু উপত্যকায় নিহতের মোট সংখ্যা ৪৬ হাজার ৫৫০ ছাড়িয়ে গেছে। এ ছাড়া একই সময়ে ইসরায়েলি হামলায় ৮৯ জন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর থেকে আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি।
রোববার (১২ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।
অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় কমপক্ষে আরও ২৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ হাজার ৫৬৫ জনে পৌঁছেছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত আগ্রাসনে ৮৯ জন আহতসহ এই হামলায় অন্তত এক লাখ ৯ হাজার ৬৬০ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন। তবে অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন। কারণ, উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, গাজা উপত্যকাজুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলা ইসরায়েলি এই আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। এ ছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। এ ছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।