যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের সন্তানদের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ বাতিল করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশটি সাময়িক স্থগিত করেছেন দেশটির একটি আদালত। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যে বিচারক জন কফেনর এই সিদ্ধান্ত নেন। সে অনুযায়ী ট্রাম্পের ওই নির্বাহী আদেশ কার্যকর হওয়া ১৪ দিনের জন্য স্থগিত থাকবে। খবর রয়টার্সের।
গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় দুপুরে দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ট্রাম্প। অভিষেক অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণেই অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দেন তিনি। তারপর জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্যমান নিয়মকানুনে পরিবর্তন আনার কথা জানান তিনি। এর আওতায় অবৈধ কোনো অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে সন্তান প্রসব করলে সেই শিশু স্বয়ংক্রিয়ভাবে মার্কিন নাগরিকত্ব পাবে না।
ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তের পর গত মঙ্গলবার বোস্টনের ফেডারেল আদালতে জোটবদ্ধভাবে মামলা করে ২২টি অঙ্গরাজ্য এবং ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়া ও সান ফ্রান্সিসকো শহর কর্তৃপক্ষ। মামলায় যুক্তি দেয়া হয়, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ার প্রেসিডেন্টের এ চেষ্টা মার্কিন সংবিধানের ভয়ানক লঙ্ঘন। এ ছাড়া এই মামলাটি হওয়ার আগে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন, কয়েকটি অভিবাসী সংগঠন ও অন্তঃসত্ত্বা এক নারী একই ধরনের মামলা করেন।
বৃহস্পতিবার আদালতে এক শুনানির সময় বিচারক জন কফেনর বলেছেন, ‘এটি স্পষ্টভাবেই একটি অসাংবিধানিক আদেশ।’
তবে বিচারকের এই আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ট্রাম্প। তার দেয়া নির্বাহী আদেশের পক্ষে লড়াই করার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগও।