জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএইচইউ) দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২০ লাখ ১২ হাজার ১২৫ জন।
প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লাখ ৪৮ হাজার ৮৯৬ জন।
জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। বৃহস্পতিবারর পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১৭ লাখ ১৩ হাজার ১৬০ জন এবং মারা গেছেন ৬৭ হাজার ৯৬৪ জন।
আক্রান্তের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৭ লাখ ৪২ হাজার ৪১৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ২০ হাজার ৬৪২ জন মানুষের।
এদিকে, চতুর্থ অবস্থানে আছে রাশিয়া। দেশটিতে কোভিড-১৯ আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৭৪৯ জনে পৌঁছেছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ লাখ ৫৩ হাজার ৩২৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৩২ হাজার ২৭৭ জনের।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি: মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে আরও ৪৬ জনের মৃত্যু এবং নতুন করে ৩ হাজার ৪৮৯ জনের শরীরে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে।
বুধবার নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, দেশে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে ৭৫টি ল্যাবে। এসব ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৮৩৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৬৭২টি নমুনা। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮ লাখ ৮৯ হাজার ১৫২টি।
এখন দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৯৭ জনে। আর মোট শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৭২ হাজার ১৩৪ জন। নতুন যে ৪৬ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৮ এবং নারী ৮ জন।
এদিকে, করোনাভাইরাস থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৭৩৬ জন। এ নিয়ে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি থেকে দেশে মোট সুস্থ হলেন ৮০ হাজার ৮৩৮ জন। সূত্র: ইউএনবি