শনিবার দেওয়া এক আদেশে আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে পার্লামেন্ট স্থগিত করেছেন তিনি, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রেসিডেন্ট সিরিসেনার এ সিদ্ধান্তে শ্রীলঙ্কার সাংবিধানিক সংকট আরও গভীর হলো বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহকে বরখাস্ত করে ওই দিন রাতেই সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসেকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ পড়ান সিরিসেনা।
প্রধানমন্ত্রীকে আকস্মিক বরখাস্তের ঘটনায় শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্তের কথা বলা হয়েছে। তবে বরখাস্ত হওয়া প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, প্রেসিডেন্টের এই পদক্ষেপ অসাংবিধানিক এবং তিনিই প্রধানমন্ত্রী।
বরখাস্ত হওয়া প্রধানমন্ত্রী দাবি করছিলেন, পার্লামেন্টে তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা বেশি। তাই তিনিই প্রধানমন্ত্রী। আর এই দাবির প্রেক্ষিতেই পার্লামেন্ট বাতিল করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত রাজাপাকসে প্রেসিডেন্ট থাকার সময় তার স্বাস্থ্য মন্ত্রী ছিলেন সিরিসেনা। ২০১৫ সালে রানিলের সঙ্গে সিরিসেনা জোট বেধে রাজাপাকসেকে নির্বাচনে পরাজিত করেন। রানিলের ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) সমর্থনেই তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু শুক্রবার সিরিসেনার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস’ ফ্রিডম অ্যালায়েন্স (ইউপিএফএ) জানায়, তারা ক্ষমতাসীন জোট থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। ফলে তিন বছর আগে গড়ে ওঠা জোট সরকারের ইতি ঘটতে যাচ্ছে।
নতুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চীনের সম্পর্ক ভালো থাকায় এই ঘটনায় চীনের প্রভাব রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত চীনা দূত চেং শুয়েনান রাজাপাকশেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি উইক্রেমেসিংহেকে বলেছেন, শ্রীলঙ্কার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করবে না চীন।
সিরিসেনা রোববার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে পারেন এবং সোমবার নতুন মন্ত্রিসভা নিয়োগ করতে পারেন বলে জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের বিরোধীদলীয় এক আইনপ্রণেতা।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি