ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে আসা নিয়ে (ব্রেক্সিট) নতুন আরেক যুদ্ধের নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। পার্লামেন্টের হাউস অব কমনসে আজ মঙ্গলবার আবার গুরুত্বপূর্ণ ভোটের মুখোমুখি হচ্ছেন মে। ব্রেক্সিটের সংশোধিত নয়া খসড়া নিয়ে ভোট দেবেন এমপিরা। প্রধানমন্ত্রীর তৈরি নয়া খসড়ায় বেশ কিছু সংশোধনী এনে ভোটাভুটি হবে, যা ব্রেক্সিটের ভবিষ্যৎ কর্মসূচি ঠিক করবে।
নিজের সমর্থকদের কাছে মে হলেন উচ্ছলতার প্রতীক। তবে সমালোচকেরা তাঁকে অনমনীয় হিসেবেই অভিহিত করেন, যিনি কিনা চারপাশের পরিস্থিতি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অনেকটাই উদাসীন।
১৫ জানুয়ারি ব্রেক্সিট চুক্তির খসড়া নিয়ে ভোটাভুটিতে বিশাল ব্যবধানে হেরে যান প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। যুক্তরাজ্য সংসদের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমনসে সদস্যদের ভোটাভুটিতে ২৩০ ভোটে হেরে যান তিনি। ব্রেক্সিট চুক্তি পাসে ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ নিয়ে প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন তাৎক্ষণিকভাবে থেরেসা মের সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সংসদের অন্যান্য বিরোধী দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটস, স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি, প্লাইড কামরি ও গ্রিন পার্টি এই অনাস্থা প্রস্তাবে সমর্থন করে। পরে আস্থা ভোটে টিকে যান তিনি।
আসলে কী করছেন মে? কারণ, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি নিজেও ব্রেক্সিটের পক্ষে ছিলেন না। সেই মেই কিনা, এখন পুরোপুরি চান ভোটারদের ইচ্ছে পূরণ হোক, যাঁরা ২০১৬ সালের জুনে বিচ্ছেদের পক্ষেই রায় দিয়েছিলেন। ওই গণভোটের পর ব্রেক্সিট কার্যকর করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন মে। তবে বিপক্ষের মানুষেরা সব সময়ই ব্রেক্সিট নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে আসছেন।
আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছে সারা যুক্তরাজ্যের মানুষ।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি