নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অধিকৃত গোলান উপত্যকায় ইসরায়েলি সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এমন সময় এই স্বীকৃতি দিলেন, যার এক মাসের মাথায় ইসরায়েলের জাতীয় নির্বাচন—যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় সোমবার ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে গোলান উপত্যকায় ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দেন। হোয়াইট হাউসে এ–সংক্রান্ত প্রেসিডেনশিয়াল ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। এ সময় নেতানিয়াহু তাঁর পাশে ছিলেন। এর আগে চলতি সপ্তাহেই এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প এই স্বীকৃতির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
ট্রাম্পের এই স্বীকৃতির পর পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সিরিয়া। ট্রাম্পের এমন পদক্ষেপকে সিরিয়া সার্বভৌমত্বের ওপর আক্রমণ বলে উল্লেখ করেছে দামেস্ক। ১৯৬৭ সালে আরব–ইসরায়েল যুদ্ধের সময় সিরিয়ার গোলান উপত্যকা দখল করে নেয় ইসরায়েল।
সিরিয়া ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের এই স্বীকৃতির প্রতিবাদ করেছে অনেক দেশ। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের একজন মুখপাত্রও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ওই মুখপাত্র বলেছেন, গোলান উপত্যকা প্রসঙ্গে জাতিসংঘের অবস্থান আগের মতোই। অর্থাৎ গোলানে ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দেবে না জাতিসংঘ। তিন বছর আগে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার শাসনামলে বিষয়টি নিয়ে আরেকবার আলোচনা হয়েছিল। তখন জাতিসংঘের বক্তব্য ছিল, ‘বিশ্ববাসীর বৈধতা ব্যতীত গোলান মালভূমির ওপর ইসরায়েলের মালিকানা দাবি অকার্যকর বলে গণ্য হবে।’
রাশিয়া ট্রাম্পের এই স্বীকৃতির পরিপ্রেক্ষিতে শঙ্কা প্রকাশ করেছে। দেশটি বলছে, ‘এ স্বীকৃতি মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।’ তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্রের এই স্বীকৃতিকে ‘অসম্ভব’ বলে অভিহিত করেছে। দেশটি বলছে, তারা এই স্বীকৃতির বিরুদ্ধে জাতিসংঘে যাবে।
অন্যদিকে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ট্রাম্পের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘ইসরায়েল কখনো গোলান প্রশ্নে ছাড় দেবে না।’
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি