ধর্মশালায় বছরের এই সময়টাতে রাতে ভালোই শীত অনুভূত হয়। তবে এটাকে তীব্র বলা যায় না। একইভাবে রাতে কুয়াশাও দেখা যায়, তবে সেটা ক্রিকেট খেলায় প্রভাব ফেলার মতো হয় না। তবে প্রকৃতি আজ সবাইকে অবাক করেছে! ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ চলাকালে হঠাৎ কুয়াশার পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে ম্যাচ বন্ধ রাখতে বাধ্য হন আম্পায়াররা।
ভারতের ইনিংসের ঘটনা। ১৫তম ওভারের খেলা চলাকালে দেখা যায় শিশিরের পরিমাণ বাড়ছে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেটার প্রভাবে দৃষ্টিসীমা অনেকটাই কমে আসে। শেষ পর্যন্ত ১৬তম ওভারের চতুর্থ বলের পর খেলা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন আম্পায়াররা। এর মিনিট পনেরো পর আবারও খেলা শুরু হয়।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভারতের সংগ্রহ ১৮ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১১৭ রান।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৭৩ রান তুলেছে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৩০ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। ভারতের হয়ে ৫ উইকেট শিকার করে দলের সেরা বোলার মোহাম্মদ শামি।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ধীরগতির শুর করেছিলেন দুই কিউই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও উইল ইয়াং। তবে কনওয়েকে বেশিক্ষণ থাকতে দেননি মোহাম্মদ সিরাজ। ৯ বল খেলে ডাক খেয়েছেন তিনি। আরেকন ওপেনার ইয়াং শুরুটা ভালোই করেছিলেন। কিন্তু উইকেট থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৭ রান করা এই ওপেনারকে বোল্ড করেছে সিরাজ।
দ্রুত দুই ওপেনারকে হারিয়ে ধুঁকছিল কিউইরা। দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলেন রবীন্দ্র ও মিচেল। এই দুইজন মিলে তৃতীয় উইকেটে গড়েন ১৫৯ রানের জুটি। অবশ্য এই জুটি অনেক আগেই ভাঙতে পারতো। ভারতীয়রা বেশ কিছু মিস ফিল্ডিং করায় তাদের অপেক্ষা বাড়ে। দুই রিভিউয়ের সঙ্গে দুটি ক্যাচ মিস, সবমিলিয়ে পঞ্চম বারের চেষ্টায় রবীন্দ্রকে সাজঘরে ফেরায় ভারত। তার আগে রবীন্দ্রের ব্যাট থেকে এসেছে ৭৫ রান।
এরপর ব্যর্থ হয়েছেন টম ল্যাথাম-গ্লেন ফিলিপসরা। তাদের দ্রুত বিদায়ে চাপে পড়ে কিউইরা। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। মূলত তার ব্যাটে ভর করেই লড়াই করার পুঁজি পেয়েছে দল। তিনি ১০০ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তার ব্যাট থেকে এসেছে ১২৭ বলে ১৩০ রান।
ভারতের হয়ে শেষ দিকে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন মোহাম্মদ শামি ও জাসপ্রিত বুমরাহ। বিশেষ করে শামি এদিন রীতিমতো আগুন ঝরিয়েছেন! এই ডানহাতি পেসার একাই শিকার করেছেন ৫ উইকেট। ভারতীয়দের হয়ে একমাত্র বোলার হিসেবে বিশ্বকাপে দুইবার ফাইফার পাওয়ার রেকর্ড গড়েছেন তিনি।