ইউরোতে ব্যর্থ হলেও নেশন্স লিগে দারুণ ছন্দে ছিল চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইতালি। বেলজিয়ামের বিপক্ষেও ফেভারিটের তকমা নিয়েই খেলতে নেমেছিল স্পালেত্তির শিষ্যরা। ম্যাচ গড়ানোর ২৪ মিনিটের মধ্যেই দুই গোলের লিড নিয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে আজ্জুরিরা। কিন্তু, বিরতির আগে ইতালিয়ান মিডফিল্ডার পেল্লেগ্রিনি লাল কার্ড দেখলে ১০ জনে পরিণত হয়। এরপরই প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলো বেলজিয়াম। ঘুরে দাঁড়িয়ে বেলজিয়াম পাল্টা জয়ের সম্ভাবনা জাগালেও, শেষ পর্যন্ত রোমাঞ্চকর ম্যাচটি শেষ হয় ২-২ গোলে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রোমের স্তাদিও অলিম্পিকোয় রাতে নেশন্স লিগের ম্যাচে বেলজিয়ামকে আতিথ্য জানায় ইতালি। ম্যাচ শুরুর বাঁশি বাজানোর প্রথম মিনিটেই এগিয়ে যায় ইতালি। বাঁ দিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো ক্রস বক্সে পেয়ে, ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে শট নেন আন্দ্রেয়া কাম্বিয়াসো। বেলজিয়াম গোলরক্ষক পা দিয়ে বাধা দিলেও রক্ষা করতে পারেননি। দ্বিতীয় চেষ্টায় স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন এই য়্যুভেন্টাস ডিফেন্ডার।
২৪তম মিনিটে আবারও ইতালির গোল। এবার ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রেতেগি। এখানেও জড়িয়ে কাম্বিয়াসোর নাম। তার কোনাকুনি শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন কোয়েন কাস্তেলস, কিন্তু এবারও দলকে বিপদমুক্ত করতে পারেননি তিনি। আলগা বল ছয় গজ বক্সে পেয়ে সহজেই জালে পাঠান রেতেগি।
বিরতির মিনিট পাঁচেক আগে আচমকাই জোড়া ধাক্কা খায় ইতালি। প্রথমে বেলজিয়ান ডিফেন্ডার আর্থারকে মারাত্মক ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন ইতালিয়ান মিডফিল্ডার পেল্লেগ্রিনি। এরপর সেই ফ্রি কিক থেকে গোল আদায় করেন মাক্সিম দে কাওপার।
এরপর বাকি গল্প লেখে বিরতির পর। ম্যাচের ৬১তম মিনিটে ইতালিকে স্তব্ধ করে গোলটি করেন ট্রোসার্ড। কর্নারের পর সতীর্থের হেডে বাড়ানো বল গোলমুখে পেয়ে ভলিতে গোল করেন আর্সেনালের এই ফরোয়ার্ড। বাকি সময়ে ইতালি পাল্টা জবাব দেয়ার মরিয়া চেষ্টা করবে কী, বেশিরভাগ সময় দ্বিতীয় সেরা দল হয়েই থাকে তারা। বেলজিয়ামও আর পারেনি প্রতিপক্ষের চেয়ে এক জন বেশি নিয়ে খেলার সুবিধা কাজে লাগাতে।
ঘরের মাঠে পয়েন্ট হারালেও ‘এ’ লিগের ২ নম্বর গ্রুপের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে ইতালি, তিন ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৭। আরেক ম্যাচে ইসরায়েলকে ৪-১ গোলে হারিয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে ফ্রান্স। আর ৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে বেলজিয়াম। তিন ম্যাচে ইসরায়েলের পয়েন্ট শূন্য।