ফাইনালে টটেনহ্যাম হটস্পার। শেষ চারে ব্রেন্টফোর্ডকে ২-০ গোলে হারিয়েছে মরিনিয়ো শিষ্যরা।
টটেনহ্যামের মাঠে লিড নিতে খুব বেশি সময় নেয়নি স্বাগতিকরা। রেগিলনের ক্রস থেকে হেডারে বল জালে জড়ান মুসা সিসোকো। সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিলো ব্রেন্টফোর্ড। তবে অফ সাইডের কারনে বাতিল হয় ইভান টনির গোল।
নিজেদের মাঠে খেলা শুরু হতেই যেন অভিজ্ঞদের চেনা যায়। টটেনহ্যাম হটস্পার স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই ছন্দে টটেনহ্যাম, অতিথিদের চাপে রাখে। ফলটাও আসে মাত্র ১২ মিনিটে। রিগুইলিওনের পাস থেকে মৌসা সিসিওকোর দারুণ গোলে এগিয়ে যায় স্পাররা।
শুরুর চাপ সামলে কিছুটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা ব্রেন্টফোর্ড রক্ষণদুর্গেরের। সফলও হলেন। আর কোনো গোল হজম না করায় ১-০ গোলের স্কোরলাইন নিয়ে বিরতিতে যায় দু’দল।
বিরতির পর অবশ্য ঘুরে দাঁড়িয়েছিল প্রতিপক্ষ। ৬৫ মিনিটে এক গোল করেছিল ব্রেন্টফোর্ড। কিন্তু ভিএআরের তা বাতিল করে দেয় রেফারি।
৫ মিনিট পরই নিজের ঝলক দেখান সন হিউমিন। মাঝ মাঠ থেকে প্রায় একক প্রচেষ্টায় মৌসুমের ১৬ নম্বর গোলটা করেন। লিড দাঁড়ায় ২-০।
দুই গোল খেয়ে যেন মাথা খারাপ হয়ে যা ব্রেন্টফোর্ডের। এলোমেলো ফুটবল আর ফাউল করতে থাকে। ৮৪ মিনিটে তার খেসারত দেয় তারা। দ্যা সিলভা লাল কার্ড খেলে ১০ জনের দলে পরিণত হয়।
ম্যাচের বাকি সময় একাধিক বদলি এনেও একটা গোল পরিশোধ করতে পারেনি ব্রেন্টফোর্ড। ২-০ গোলের হার নিয়েই মাঠ ছাড়ে। আর দারুণ এক জয়ে ফাইনালের টিকিট কাটে হোসে মরিনিয়ো শিষ্যরা।