কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তরের জন্য গবেষণা, উদ্ভাবন ও জ্ঞানবিনিময়ের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশসমূহকে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে অফিস কক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি ইটালির রোমে ৩ দিনব্যাপী চলমান জাতিসংঘের ফুড সিস্টেম প্রি-সামিটের ‘খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তরে বিজ্ঞানের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো’ শীর্ষক সেশনে বক্তব্য প্রদানকালে কৃষিমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। আন্তর্জাতিক কৃষিবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহের সম্মিলিত সংগঠন-সিজিআইএআর ও আন্তর্জাতিক কৃষক সংগঠন যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। বিজ্ঞানের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে গবেষণা ও উদ্ভাবনে পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দসহ সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করছে। ইতোমধ্যে দেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহ ধান, গম, ভুট্টা, ফল ও শাকসবজির অনেকগুলো উন্নত জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে।
ধানের জাত উদ্ভাবনের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট-ব্রি ১০০টিরও বেশি ধানের উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছে। যার মধ্যে ২৬টি জাত বন্যা, খরা, লবণাক্ততাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতসহিষ্ণু। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট-বিনা ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট-বারিও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতসহিষ্ণু ধান ও অন্যান্য ফসলের বেশ কিছু জাত উদ্ভাবন করেছে। এছাড়া, দেশের বিজ্ঞানীরা বিশ্বে প্রথম জিংকসমৃদ্ধ ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে।