পৌষের শেষে এসে ঘন কুয়াশা আর হাড় কাঁপানো কনকনে ঠাণ্ডায় কাবু সাধারণ মানুষ। রাতভর হিম বাতাস আর ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে চারদিক। রাত পেরিয়ে সকাল আসার সঙ্গে সঙ্গে শীত যেন আরও বেড়ে যাচ্ছে। টিপটিপ বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। ঠান্ডা বাতাস শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দেয়ায়, বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে চুয়াডাঙ্গা। কুয়াশার কারণে মাত্র ২০-৩০ গজ দূরের কোন কিছুই দেখা যায় না। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে, কনকনে ঠাণ্ডা বাতাসে মানুষের পাশাপাশি কাবু হয়ে পড়েছে পশুপাখিও। দিনের বেলাতেও যানবাহনগুলো চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।
এদিকে, পাবনার ঈশ্বরদীতেও মৃদু শৈত্য প্রবাহের কারণে বিরাজ করছে হাড়কাঁপানো শীত। ঘড়ির কাঁটায় বেলা যতই গড়িয়ে পড়ছে, তাপমাত্রা কমে কনকনে ঠাণ্ডা যেন ততই জেঁকে বসছে। আজ ঈশ্বরদীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। ফলে দিনের বেলাও আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছেন দরিদ্ররা। দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল মানুষেরা।
অন্যদিকে, দিনাজপুরে তিনদিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যের। জেলায় একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে আরও ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার সকাল ৬টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ছিল ১১ ডিগ্রি। তীব্র শীত থেকে বাঁচতে মোটা কাপড় পরার পাশাপাশি আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে। গৃহপালিত পশুকেও পরিয়ে দেয়া হচ্ছে চটের বস্তা।
এছাড়া তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ নওগাঁ। আজ, জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে বদলগাছি আবহাওয়া অফিস। কনকনে ঠাণ্ডায় সময়মত কাজে যেতে না পাড়ায় বিপাকে পড়েছেন দিনমজুররা। অনেকে আবার জীবিকার তাগিদে শীতকে উপেক্ষা করে ছুটছেন নিজ নিজ কর্মস্থলে।
তবে, চলমান ঠাণ্ডার তীব্রতা কমার কোনো সম্ভবনা নেই; বরং আগামী সপ্তাহে বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আর এর মধ্যদিয়ে আগামী কয়েক দিনে শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।