মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় পর্যটকবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৮ জনের মধ্যে ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল। শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল মেঘনা নদী থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে উদ্ধার চারজনের কারও নামপরিচয় জানা যায়নি। এর আগে ঘটনাস্থল থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ট্রলারডুবিতে মোট ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
তিনি জানান, সকাল সোয়া ৮টা থেকে আমাদের ডুবরি দল অভিযান শুরু করে। দুপুর দেড়টার দিকে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া দুর্ঘটনায় তলিয়ে যাওয়া নৌকাটিও শনাক্ত করা গেছে। নিখোঁজদের উদ্ধারে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস, ভৈরব ফায়ার সার্ভিস, ভৈরব থানা এবং ভৈরব, নৌ থানা পুলিশ কাজ করছে।
এখনও নিখোঁজ যাত্রীরা হলেন, ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানা (৩৫), তার স্ত্রী মৌসুমি (২৫), মেয়ে মাহমুদা (৭) ও ছেলে রায়সুল (৫), ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়া এলাকার ঝন্টু দের স্ত্রী রুপা দে (৩০), তার ভাইয়ের মেয়ে আরাধ্য (১২) ও ভগ্নিপতি বেলন দে (৩৮) ও নরসিংদীর রায়পুরা এলাকার কলেজ শিক্ষার্থী আনিকা আক্তার (১৮)।
জানা গেছে, শুক্রবার ২২ মার্চ সন্ধ্যা ৬ টায় দিকে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে বালুবাহী বাল্কহেড ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এর আগে রাতে অন্ধকারে উদ্ধারকর্মীরা কাজ করতে পারেননি, এ জন্য উদ্ধারকাজ বন্ধ রাখেন তারা। আজ শনিবার সকালে কিশোরগঞ্জ থেকে ডুবরি দল এসে আবার উদ্ধার কাজ শুরু করে।