চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মোহাম্মদ কামরুল হাসান ও তার স্ত্রী সায়মা বেগমের নামে একাধিক সম্পত্তির দলিল, ফ্ল্যাট ও কোম্পানির আংশিক শেয়ারসহ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (০৯ জুলাই) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল হাসান ও তার স্ত্রী সায়মা বেগমের নামে সম্পদ ক্রোক ও জব্দ না করা গেলে তা হস্তান্তর হয়ে যেতে পারে। পরে রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও হিসাব জব্দের আদেশ দেন।
তিনি বলেন, ক্রোক হওয়া সম্পত্তি হস্তান্তর করা যাবে না। জব্দকৃত ব্যাংক হিসাবে টাকা জমা দেয়া গেলেও উত্তোলন করা যাবে না। সেই মর্মে সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রার, এসি ল্যান্ড, বিএসইসি ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংক সমূহের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে দুদকের প্রাথমিক তদন্তে মোহাম্মদ কামরুল হাসান ৯ কোটি ৭৩ লাখ ২২ হাজার ৪৪ টাকা এবং তার স্ত্রী সায়মা বেগম ১ কোটি ৬২ লাখ ৮৫ হাজার ১৮৮ টাকা জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।