সাদিক এগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন ও প্রাণী সম্পদ অধিদফতরের ছয় কর্মকর্তাকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন।
সাদিক এগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন ও তৌহিদুল আলম ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন– সাভার কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের পরিচালক ডা. মো. মনিরুল ইসলাম, বায়ার অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম, সাভার উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ফিরোজ আহমেদ খান, রাজধানীর খামারবাড়ি প্রাণী সম্পদ অধিদফতরের উৎপাদন বিভাগের পরিচালক ডা. এ বি এম খালেদুজ্জামান, পরিচালক এ বি এম সালাহ উদ্দিন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। তারা নিজেরা লাভবান ও অন্যকে লাভবান করার হীন উদ্দেশ্যে দেশীয় দুগ্ধ ও গো-শিল্পের জন্য ক্ষতিকর এবং প্রজনন অনুপযোগী আমদানি নিষিদ্ধ গবাদিপশু পালনে অবৈধ প্রক্রিয়ায় কর্তৃপক্ষের ভুয়া অনুমোদনপত্র তৈরি করেছেন।
ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে আমদানি করা গরু শুল্ক বিভাগ আটক করে। সরকারের অনুকূলে সেগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়। সেসব গরু গত রমজান মাসে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মাংস ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রের মাধ্যমে জনগণের মাঝে সুলভ মূল্যে বিক্রির সরকারি সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু তারা সেটা অমান্য করে। সব বিধিবিধান লঙ্ঘন করে এবং নিলাম কমিটির মাধ্যমে নিলাম না করে ব্রাহামা জাতের ১৫টি গরু রেকর্ডপত্রে জবাই দেখানো হয়। বাস্তবে তারা এসব গরু জবাই না করে দণ্ডবিধি ও দুর্নীতি দমন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।