বরগুনার তালতলীতে ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ফোরকান মিয়া ও ছোট মিয়া নামের দুই জন আহত হয়েছেন। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তালতলীর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে ঘটনাটি ঘটে। আহত দুই জনকে তালতলী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর তালতলী ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে বিএনপি নেতা ফরহাদ হোসেন আক্কাস মৃধা ও অপর বিএনপি নেতা মাহবুবুল আলম মামুন সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সেই নির্বাচনে মাহবুবুল আলম মামুন সভাপতি নির্বাচিত হন। নির্বাচনে বড় বগির ১ নম্বর ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম খান লিটু আক্কাস মৃধার সমর্থক ছিলেন। অপরদিকে বিএনপিকর্মী ফোরকান মিয়া মাহাবুবুল আলম মামুনের সমর্থন করেন।
এর জের ধরে ফোরকান ও নজরুল ইসলাম লিটুর মধ্যে বিভিন্ন সময় বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে সোমবার সন্ধ্যায় ফোরকান, নজরুল ইসলাম লিটুর বাসার সামনে গেলে লিটু তাকে গালিগালাজ শুরু করেন। পরে ফোরকানও পাল্টা জবাব দিলে লিটু তার পরিবার পরিজন নিয়ে তাকে ধাওয়া করেন। এ সময় ফোরকান দৌড় দিলে নজরুল ইসলাম খান লিটু ফরহাদ হোসেন আক্কাস মৃধাকে ফোন করে ডেকে আনে। আক্কাস ও লিটু তার দলবলসহ হাতুড়ি ইট নিয়ে দৌড়ে এসে ফোরকানকে ধাওয়া করলে মুক্তিযোদ্ধা সড়কের আবুল জমাদ্দারের কাপড়ের দোকানে আশ্রয় নেন। এ সময় হামলাকারীরা ঘরে প্রবেশ করে তার মাথায় পায়ের গিরায় শরীরে হাতুড়ি ও ইট দিয়ে পেটাতে থাকেন।
ঘটনার সময় জেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল হকের ছোট ভাই ছোট মিয়া বাধা দিতে গেলে তাকেও হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এ সময় দুই জন রক্তাক্ত অবস্থায় অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাদেরকে উদ্ধার করে তালতলী হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। ঘটনার পর তালতলী বাজারে দুই গ্রুপের টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
তালতলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বলেন, বিএনপি নেতা ফোরকানকে লিটু ও আক্কাস মৃধার লোকজন আবুল জমাদ্দারের দোকানের ভেতর থেকে বের করে বেধড়ক মারধর করেছে। আমার ছোট ভাই ছোট মিয়া তাকে উদ্ধার করতে গেলে তাকেও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়। তাদের অবস্থা গুরুতর। তারা এখন বরিশাল ও ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।
এ বিষয়ে তালতলী থানার ওসি শহিদুল ইসলাম খান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।