কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে জুলাই জুড়ে যে গণহত্যা সংঘটিত হয়, তার বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে বেছে নেয় সরকার। শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে একে একে অভিযোগ জমা পড়ে ট্রাইব্যুনালে।
গণহত্যায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হবে বললেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। ফাইল ছবি
গণহত্যায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হবে বললেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ
তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন টিমে নিয়োগ হলেও বাকি ছিল বিচারক নিয়োগ। গত বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানান, চলতি সপ্তাহেই এজলাসে বসবেন বিচারকরা। শুরু হবে বিচার প্রক্রিয়া।
রোববার (১৩ অক্টোবর) ছুটির দিনেও বসে নেই তদন্ত সংস্থা। সংস্থাটির ধানমন্ডি কার্যালয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন সদস্যরা। অভিযুক্ত আর কেউ যেন ফাঁকগোলে দেশত্যাগ করতে না পারে এজন্য মেনে চলা হচ্ছে কঠোর গোপনীয়তা।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিচারক নিয়োগ হলে এ সপ্তাহেই জুলাই গণহত্যায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হবে।’ শেখ হাসিনাসহ বিদেশে পলাতক ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেয়া হবে বলেও জানান চিফ প্রসিকিউটর।
উল্লেখ্য: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এখন পর্যন্ত গুম, হত্যা, গণহত্যাসহ ৬০টির বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ, ১৪ দলের নেতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।