কিশোরগঞ্জে উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হয়েছে মেধাবৃত্তি পরীক্ষা। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। পরীক্ষায় সদর উপজেলার ৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৪টি প্রতিষ্ঠানের ৫৭৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। বাংলা, গনিত ও ইংরেজি বিষয়ের উপর নার্সারি থেকে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা চলবে শনিবার পর্যন্ত। কিশোরগঞ্জ বেসরকারি স্কুল ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন প্রথমবারের মতো এই বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করেছে। শিক্ষার্থীদের মেধাবিকাশের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে অভিভাকরাও।
অভিভাবকরা বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও এমন উদ্যোগ গ্রহণ করায় আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমাদের সন্তানরা পরীক্ষা আসলেই তাদের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা কাজ করে। সকাল হতেই তারা পরীক্ষা দেওয়ার জন্য চলে আসছে। বৃত্তি পরীক্ষা একজন শিক্ষার্থীর মেধা যাচাইয়ের একটি সুন্দর মাধ্যম। ছোট বয়সে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাথে বসে পরীক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে তাদের নতুর অভিজ্ঞতা ও সাহস যোগায়। বিশেষ করে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও অর্থনৈতিক সহযোগিতা পায়।
বেসরকারি স্কুল ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, করোনার পর থেকে সরকার বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়ায় মেধাবী শিক্ষার্থীরা মেধাবিকাশের সুযোগ পাচ্ছে না। সেই লক্ষ্যে বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে। যেহেতু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বৃত্তি পরীক্ষা এখানে সরকারি কোন অর্থনৈতিক সুবিধা নেই। প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতাদের বাৎসরিক চাঁদার মাধ্যমে ও সমাজের বিত্তবান শিক্ষানুরাগীদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে বৃত্তি প্রদান করা হয়। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক কোন কিন্ডারগার্টেন পদ্ধতি প্রবর্তন থাকবে না। সকল প্রতিষ্ঠান বেসরকারি পর্যায়ে চলে গেছে। ভবিষ্যতে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারের কাছে দাবি, যেহেতু সরকারি প্রতিষ্ঠান গুলো বৃত্তি পায় সেহেতু আমাদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও যেন সেই বৃত্তির আওতায় নিয় আসে।
পরীক্ষা চলাকালীন শ্রেণীকক্ষ পরিদর্শন করেন বেসরকারি স্কুল ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সহ সভাপতি ওমর ফারুক খান, সাধারণ সম্পাদক মানসুরুল হক রবিন।