হিমালয়ের কন্যাখ্যাত উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে কনকনে শীতের কারণে চরম বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। মধ্যরাত থেকে এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে হিমেল হাওয়া। পড়ছে শিশির বিন্দু। ঘন কুয়াশার কারণে মাঠ-ঘাট, পথঘাট সব ঢাকা পড়েছে। বেলা বাড়লেও নেই সুর্যের উত্তাপ।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা পারদ বাড়লেও কমেনি শীতের তীব্রতা।
জেলার মহানন্দা নদীতে পাথর উত্তোলন করতে আসে পাথর শ্রমিক সামিউল ইসলাম বলেন, মানুষ শীতে কারণে বাড়ি থেকে বের হয় না। অথচ আমরা বরফ কলা নদীতে নেমেছি পাথর উত্তোলন করার জন্য। এই শীতের কারণে তেমন কাজকর্ম করতে পারছি না। আয় কমে গেছে। কেউ আমাদের খোঁজও নেয় না।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, আজ সকাল ৯টায় তেতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল এ জেলার ওপর দিয়ে মাঝারী শৈত্য প্রবাহ বয়ে গেছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক সাবেত আলী বলেন, প্রতিবছর এখানে শীত আগেভাগেই শুরু হয়। এবারও শীতের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। যারা প্রকৃত গরিব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষ তাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে এবং তা অব্যাহত রয়েছে। সংশ্লিষ্ট দফতরে আরও শীতবস্ত্রের জন্য আবেদন করা হয়েছে। প্রতিটি শীতার্ত মানুষ যেন শীতবস্ত্র পায় সেটি নিশ্চিতে আমরা কাজ করছি।