আয়নাঘর পরিদর্শনে করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা আয়নাঘর পরিদর্শনের সময় তার সঙ্গে ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল, গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এছাড়াও দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা ও ভুক্তভোগীদের পরিবারও উপস্থিত ছিল।
এ সময় গুমের শিকার প্রতিটা মানুষের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা গণ- অভ্যুত্থানের সরকারের অঙ্গীকার বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন শেষে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেয়া পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, নৃশংস! এটাই আমাদের দেখা সবচেয়ে ভয়ংকর আয়নাঘর। তিন ফুট বাই এক ফুটের সেল। দুই বিঘত জায়গায় টয়লেট। বাকি দুই ফুটে হাঁটু মুড়ে বসে থাকার জায়গা। আমার মনে হয় জুলাই অভ্যুত্থানের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তিগুলোর একটি হলো গুমের শিকার মানুষদের মুক্তি। বাংলাদেশে যেন আর কখনো গুমের মতো মানবতাবিরোধী কিছু না ঘটে, সেটা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি।\
তিনি আরও লিখেন, আমরা সরকার গঠনের মাত্র ১৯ দিনের মাথায় গুম কমিশন গঠন করেছি, যারা দিনরাত কাজ করে নৃশংসতার বিবরণগুলো ডকুমেন্ট করেছেন। ২১ দিনের মাথায় আন্তর্জাতিক গুমবিরোধী কনভেনশনে সই করেছি। আজকে মিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্ববাসী দেখবেন হাসিনার নৃশংসতার কিছু নমুনা। আরও শ শ নমুনা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছে।
মাহফুজ আলম লিখেন, গত ৬ মাস গুম কমিশন গুমের ভিক্টিমদের সাক্ষ্য নিয়ে, তদন্ত করে গুমের স্থান, কাল ও সত্যতা নিরূপণ করেছেন। সে সূত্রে আইসিটি ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়েছে। বিচারের কাজও শুরু হয়েছে। গুমের শিকার প্রতিটা মানুষের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা গণঅভ্যুত্থানের সরকারের অঙ্গীকার।