সাম্প্রতিক অতিবর্ষণের কারণে সৃষ্ট বন্যায় দেশের ৩৩ টি জেলায় ক্ষতিগ্রন্তদের মধ্যে মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণের জন্য এ পর্যন্ত ১৬ হাজার ২১০ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আর বন্যার্তদের মাঝে এ পর্যন্ত ৯ হাজার ৪৪১ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।
আজ এক তথ্যবিবরণীতে এতথ্য জানানো হয়েছে।
বন্যাকবলিত জেলা প্রশাসনসমূহ থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, নগদ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৪ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ২ কোটি ৩৩ লাখ ৪৮ হাজার ৭০০ টাকা। শিশু খাদ্য সহায়ক হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ৬৬ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। গো-খাদ্য ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা এবং বিতরণের পরিমাণ ১ কোটি ২৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকা।
আর শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ১০৬ প্যাকেট।
এছাড়াও ঢেউটিন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৩০০ বান্ডিল এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ১০০ বান্ডিল, গৃহ মঞ্জুরী বাবদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৯ লাখ টাকা এবং বিতরণ করা হয়েছে ৩ লাখ টাকা।
বন্যাকবলিত জেলাসমূহ হচ্ছে-ঢাকা, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জ।
তথ্যবিবরণীতে বলা হয়, বন্যাকবলিত উপজেলার সংখ্যা ১৬১ টি এবং ইউনিয়নের সংখ্যা ১০৬২ টি।
পানিবন্দি পরিবার সংখ্যা ৯ লাখ ৫৩ হাজার ৯৪০ টি এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোক সংখ্যা ৫৫ লাখ ১৫ হাজার ২৭ জন। বন্যায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪১ জন। এতে বলা হয়, বন্যাকবলিত জেলা সমূহে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে ১ হাজার ৪৮৮ টি।
আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিত লোক সংখ্যা ৬৮ হাজার ৭৮৯ জন। আশ্রয় কেন্দ্রে আনা গবাদি পশুর সংখ্যা ৭৪ হাজার ২৬০ টি। বন্যাকবলিত জেলাসমূহে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে ৯৮১ টি এবং বর্তমানে চালু আছে ৪০৯ টি।