রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজের পাশে অবস্থিত শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। ৯১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ হাসপাতালটির দৈর্ঘ্য ৬শ’ ফিট ও প্রস্থ পঁচাত্তর ফিট। এক দশমিক ছিয়াত্তর একর জমির উপর নির্মিত এ হাসপাতালটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় নির্মিত আঠারো তলা বিশিষ্ট এ হাসপাতালটির নামকরণ করা হয়েছে ‘শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট’।
অত্যাধুনিক এ হাসপাতালে পোড়া রোগীরা বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা পাবে। শুধু রোগারাই নন, রোগীদের পাশাপাশি চিকিৎসক ও নার্সদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে এ হাসপাতাল। এখানের চিকিৎসক ও নার্সদের দিয়ে পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় সরকারি হাসপাতালে পৃথক বার্ন ইউনিট স্থাপন করা হবে।
নতুন এ হাসপাতাল চালু হলে প্রতিবছর ১০ থেকে ১২ জন চিকিৎসক বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিষয়ে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাবে। ৫শ’ শয্যাবিশিষ্ট এ হাসপাতালটিতে ৫০টি ইনসেনসিভ কেয়ার ইউনিট, ১২টি অপারেশন থিয়েটার ও অত্যাধুনিক পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড থাকবে।
এ হাসপাতালটি তিনটি ব্লকে বিভক্ত। হাসপাতালটির একদিকে থাকবে বার্ন ইউনিট, একদিকে প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট ও অন্যদিকে থাকবে একাডেমিক ভবন। থাকবে দেশের একমাত্র হেলিপ্যাড সুবিধা। অত্যাধুনিক এ হাসপাতালটির মাটির নিচে রয়েছে তিনতলা বিশিষ্ট বেজমেন্ট। যেখানে গাড়ি পার্কিংয়ের সু-ব্যবস্থা থাকবে। থাকবে রেডিওলজি সহ বেশ কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিভাগ। হাসপাতালটির জন্য যন্ত্রপাতি সহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি স্থাপনের কাজ চলছে।
হাসপাতাল নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে দ্রুতগতিতে। ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশনের আওতায় সাব কন্ট্রাক্টে কাজ করছে কর্মীরা। হাসপাতালটি উদ্বোধনের পর এখন ব্যস্ত সময় পার করছে কর্মীরা।
সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে কর্মীরা কাজ করছে রাত-দিন। বিভিন্ন বিভাগে বিভক্ত হয়ে কাজ করছে তারা।
হাসপাতালটির প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, এই বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ হাসপাতাল। ২০১০ সালে রাজধানীর পুরনো ঢাকার নবাব কাটরার নিমতলীতে কেমিক্যালের গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে শিশুসহ ১২৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু, ‘গণতান্ত্রিক অধিকারের নামে বিএনপি-জামায়াতের ২০১৪ সালের জ্বালাও-পোড়াও সহ বিভিন্ন সময়ে ভয়াবহ ট্রাজেডির কারণে অনেকে চিকিৎসার অভাবে মারা যান। কাউকে যেন আর পোড়া ও দগ্ধতা নিয়ে মারা যেতে না হয় সেজন্য ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট এ বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নির্মাণ।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি