মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিম বলেছেন, হালদা নদীর ভূমিকা বিশাল। এবার সার্বোচ্চ ডিম আহরণ করা হয়েছে। যে সকল প্রতিকূলতা ছিল হালদা নদীর মাছের পোনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে এই প্রতিকূলতাকে আমরা ইতোমধ্যে মোকাবেলা করেছি। নদীর অতিতের যে ঐতিহ্যটা ছিল সেটা ইতোমধ্যে ফিরে এসেছে।
তিনি আজ (শুক্রবার) সকালে দেশেরএকমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী পরিদর্শনে এসে স্থানীয় হালদা পাড়ের লোকজন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারজানা লাভলী। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহামুদ, ডিজি কাজী শামস আফোজ, রাউজান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জোনায়েদ কবির সোহাগ, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন, ইউপি চেয়ারম্যান (হাটহাজারী) সরওয়ার মোরশেদ, মোহাম্মাদ মাসুদ।
এসময় মন্ত্রী হালদার মা মাছ ও জীব-বৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের নেওয়া প্রকল্প বাস্তবায়নে সন্তোষ প্রকাশ করেন। হালদা পাড়ের মৎস্যজীবীদের সরকার কর্তৃক প্রনোদনা থেকে বাদ পড়াদের তালিকা করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্টদের। এসময় মন্ত্রী হালদার নানা সমস্যার কথা শুনেন। এরআগে মন্ত্রী চট্টগ্রাম নগরীর কালুরঘাট থেকে তিনি স্পীড বোড যোগে হালদার প্রায় ত্রিশ কিলোমিটার পানিপথ পরিদর্শন করেন।
পরে মিরসরাইয়ের বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে পানি সরবরাহের লক্ষ্যে হালদা তীরে আরেকটি শোধনাগার করতে চায় চট্টগ্রাম ওয়াসা, যার পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে আপত্তি এসেছে বিভিন্ন মহল থেকে। এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানুষের বিশুদ্ধ পানি পানের অধিকার রয়েছে। কাজেই বিশুদ্ধা পানি সরবরাহ করা আমাদের দায়িত্ব। যদি দেখা যায় সে পানি সরবরাহ করার ক্ষেত্রে হালদার স্বাভাবিক অবস্থা কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে সেক্ষেত্রে নিশ্চয় আমরা যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সেটা আমরা নিব।
নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি