সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম রাজনৈতিক মাঠে সততা নিষ্ঠা আদর্শের উজ্জলতার প্রতিচ্ছবির নাম। তিনি ১৯৫২ সালের আজকের এই দিনে ময়মনসিংহ শহরে জন্মগ্রহন করেন।
যুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, বাংলার স্বাধীনতার অনতম সংগঠক, জাতীয় চার নেতার অন্যতম ব্যক্তি সৈয়দ নজরুল ইসলামের বড়পুত্র ছিলেন এই সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তার পৈতৃক নিবাস তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলার কিশোরগঞ্জ মহাকুমায়।
এই নেতা শৈশব কাটিয়েছেন ময়মনসিংহ শহরে। তার বাবার হাত ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে পথযাত্রা শুরু। তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ছিলেনি এবং কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদকের দায়িত্বেও ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সৈয়দ আশরাফ দেশের জন্য অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেন। ৭৫’র ভয়াল ১৫ই আগষ্ট! মুসতাক ও তার লোকেরা ক্ষমতার আসন শক্ত করতে জাতীয় চার নেতাকে তাদের মন্ত্রী পরিষদের সঙ্গে যুক্ত করতে চায়। কিন্ত তাদের সাথে না পেয়ে ২৩শে আগষ্ট জাতীয় চার নেতাকে গ্রেপ্তার করে ৭২ দিন অন্ধকার জেলখানার মধ্যে কারারুদ্ধ করে রাখে অবশেষে ৩রা নভেম্বর নৃশংসভাবে তাদের হত্যা করে।
যখন তার বাবা সৈয়দ নজরুল ইসলামকে জেলে হত্যা করা হয় তখন তাকে লণ্ডনে নির্বাসিত হতে হয়েছিল। দেশ তাকে বার বার ডাকছিল কিন্তু নানা প্রতিকূলতার মাঝে তার দেশে আসা সম্ভব ছিল না।
কিন্তু লন্ডনের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকায় ছিলেন তিনি। লন্ডন কমিনিউটি যুবলীগের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৯৬ সালের কিশোরগঞ্জের আবেগ ভালবাসা ভরসার প্রতীক হয়ে ফিরে আসেন তার প্রিয় নরসুন্দার তীরে গড়ে উঠা শহরে।
তার রাজনৈতিক জীবন ছিল বেশ দাপুটে। তিনি ১৯৯৬ সাল থেকে পাঁচবার জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। সততা আর আদর্শের সাথে এই নেতা আওয়ামী লীগের ক্রান্তিকালে দলের দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়া আওয়ামী লীগকে অভিভাবক শূন্য করার ষড়যন্ত্রের রুখে দাড়ান সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।জনমত গড়ে তুলে বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে।
দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ইতিহাসে সৈয়দ আশরাফ একজনই যিনি টানা দ্বিতীয় বার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
তিনি ১৯৯৬ সালের আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ছিলেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটক প্রতিমন্ত্রী। দুই মেয়াদ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে পালনে ছিলেন এই ত্যাগী নেতা। তার কর্ম রাজনৈকি অঙ্গনে উদাহরণ স্বরূপ।