আগামী ১৭ মার্চ ২০২১ তারিখ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা হবে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতিবছর জাতির পিতার জন্মদিবসকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এবছর ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ও ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মিলনায়তনে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনলাইনে প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে এ অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হবেন বলে সভায় জানানো হয়।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে আজ রোববার (৩১জানুয়ারি) বিকালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সভাকক্ষে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজকের এ সভায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কাজী রওশন আক্তার, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমান, ক্যাবিনেট ডিভিশন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধি, ঢাক দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশ ও জেলা প্রশাসন গোপালগঞ্জের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের সৃষ্টি হতো না। সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে গভীর শ্রদ্ধা ও যথাযথ মর্যাদার সাথে দেশব্যাপী মুজিব বর্ষে এই মহান নেতার জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদযাপন করা হবে।
সভায় অনুষ্ঠানসূচির আলোচনায় জানানো হয়, জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২১ উদযাপন উপলক্ষ্যে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ও টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। এদিন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধি প্রাঙনে শিশু প্রতিনিধির মাধ্যমে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বঙবন্ধুর ১০১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হবে। মুজিববর্ষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে জাতির পিতার ম্যুরাল এর ফলক উম্মোচন করা হবে। অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করবেন ও অনলাইনে শিশুদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারাদেশে জেলা ও উপজেলা সদরে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আযোজন করা হবে। দিবসটি উপলক্ষে ক্রোড়পত্র, স্মরণিকা ও পোস্টার মুদ্রণ ও প্রকাশ করা হবে। দূতাবাসসমূহে স্বাস্থ্য বিধি মেনে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদযাপন করা হবে। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।