আগামী ২৯ ডিসেম্বর বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় জনসভায় বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সভায় মঞ্চে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর ও সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর উপস্থিত থাকা নিয়ে আপত্তি উঠেছে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান এবং নির্বাচন নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় তাদের বিরুদ্ধে এই আপত্তি তোলা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রস্তাব করা হয়েছে, স্থানীয় আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ দুই নেতা যেন প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় অংশ না নেন।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বরিশাল সার্কিট হাউসে স্থানীয় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে অংশ নেওয়া কয়েকজন নেতা বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
নেতারা জানিয়েছেন, বুধবারের বৈঠকে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এবং বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর সংসদ সদস্য পদে স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর প্রকাশ্য জনসভায় নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। এসব কর্মকাণ্ডের পর দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার সভামঞ্চে তাদের উপস্থিত হওয়ার সুযোগ নেই। এমনকি এই দুই নেতাকে নিয়ে বর্ধিত সভা করতেও আপত্তি জানান জাহিদ ফারুক ও আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ।
ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বরিশাল-১ আসনের সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুস ও মহানগর সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীরসহ নেতৃবৃন্দ।
সভায় উপস্থিত থাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আফজালুল করিম বলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে প্রার্থী হওয়া এবং আপত্তিকর মন্তব্য করায় বুধবারের বৈঠকে দুই নেতার বিষয়ে আপত্তি তোলা হয়েছে।