চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মা নদী তীরবর্তী দিয়াড় অঞ্চল। এ অঞ্চলের মাটি দোঁআশ প্রকৃতির। অন্যদিকে, বরেন্দ্র অঞ্চলের মাটি রুক্ষ প্রকৃতির। তাই দুই অঞ্চলে দুই ধরণের ফসলের আবাদ হয়ে থাকে। কিন্তু ব্যতিক্রমী হচ্ছে সরিষা। দুই অঞ্চলেই এবার রেকর্ড পরিমাণ সরিষার আবাদ হয়েছে।
সরিষা চাষে খরচ ও পরিশ্রম দুটোই কম হয়, অন্যদিকে এবার বন্যা দেরিতে হওয়ায়, পানি নেমে যাওয়ার পর অন্য ফসল চাষের আর সময় ছিলো না। তাই চাষীরা সরিষা চাষের দিকেই ঝুঁকেছেন।
কৃষি বিভাগ বলছে, এ বছর ১৫ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষাবাদ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে নাচোল গোমস্তাপুর, সদর ও ভোলাহাট উপজেলায়।
সরিষা আবাদ বাড়লে তেলজাতীয় পণ্যের আমদানি নির্ভরতা কমবে বলেও মনে করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম ।
চাষীরা বলছেন, এবার শৈত্যপ্রবাহ না থাকায় এখন সরিষা ক্ষেতে ছেয়ে গেছে ফুলে ফুলে। আর কিছুদিন পরেই ফুল থেকে সরিষা দানা হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এবার বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।