জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠেয় নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই বৈঠক বাংলাদেশ ও রাশিয়ার সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে এমন অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি আশা করি, ইউক্রেন ইস্যুতে বাংলাদেশ তার ভারসাম্যপূর্ণ নীতি বজায় রাখবে। বৈঠকটি মিউনিখে হবে। ওই মিটিংয়ে জেলেনস্কি তার ফর্মুলা উন্নীত করতে চাইবে। এটা ভন্ডামি (ফর্মুলা)। এটা দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের কারণে রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কি না জানতে চাইলে মান্টিটস্কি বলেন, আমি আশা করি, এ বৈঠক আমাদের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না।
১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠেয় নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সরকার গঠনের পর প্রধানন্ত্রীর প্রথম বিদেশ সফরে গেলেন।
সম্মেলনের ফাঁকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করবেন সরকার প্রধান।
এ প্রসঙ্গে গতকাল বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জেলেনস্কি দেখা করতে চেয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রী সম্মত হয়েছেন। আমাদের অবস্থান হচ্ছে আমরা সবসময় যুদ্ধের বিরুদ্ধে। আমরা চাই পৃথিবীতে শান্তি ও স্থিতি বিরাজ করুক। জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ বন্ধের আলোচনাই করবেন।
বৈঠকের কারণে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের প্রভাব নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, কোনও প্রশ্নই আসে না। রাশিয়া আমাদের অত্যন্ত বন্ধুপ্রতীম দেশ। রাশিয়া আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছিল। মুক্তিযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনে রাশিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এমনকি চট্টগ্রাম বন্দরে মাইন অপারেশন করার সময়ে রাশিয়ার একজন নাগরিকও মৃত্যুবরণ করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সুতরাং রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত উষ্ণ ও ঐতিহাসিক। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে যে বন্ধনে আমরা আবদ্ধ হয়েছি, সেই বন্ধন অনেক দৃঢ়।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডিক্যাব প্রেসিডেন্ট নূরুল ইসলাম হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু।