কারফিউ পরিস্থিতির মধ্যেও পূর্ণ সক্ষমতায় সচল হয়েছে দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম বন্দর। প্রায় এক সপ্তাহ পর বন্দরে জাহাজ থেকে পণ্য খালাস এবং বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে।
বুধবার (২৪ জুলাই) থেকে বন্দর থেকে স্বাভাবিক গতিতে শত শত কনটেইনার ডেলিভারি হয়ে পৌঁছে যাচ্ছে চট্টগ্রাম ও ঢাকার গন্তব্যে। বন্দর থেকে খালাস হওয়া পণ্য ডেলিভারিতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে আইনশৃংখলা বাহিনী। বন্দর পুরোপুরি সচল হওয়ায় কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে বন্দর কাস্টমস-এ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম বন্দরে এখন স্বাভাবিক গতিতে কাজ চলছে। এক সপ্তা্হ ধরে বন্দর থেকে কন্টেইনার ডেলিভারি বিঘ্নিত হওয়ায় এখন কনটেইনার ডেলিভারিতে গতি বাড়ানো হয়েছে। ইন্টারনেট সচল হওয়ায় বন্দর কাস্টমস-এর শুল্কায়ন ও অন্যান্য দাপ্তরিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়। বর্তমানে ইন্টারনেট সংযোগ পুনরায় সচল হওয়ায় এখন সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতে চলছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কারফিউ পরিস্থিতির মধ্যে গত ৪ দিনে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রায় ১৯ হাজার টন রপ্তানি পণ্যের শুল্কায়ন সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া ২১ জুলাই থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত ৪ দিনে বন্দরে নোঙর করা আমদানি পণ্যবাহী ১৩টি জাহাজ থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টন পণ্য খালাস হয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার মো. মাহফুজুল আলম জানান, ইন্টারনেট চালু হওয়ার পর চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে শুল্কায়নসহ কার্যক্রম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে। ফলে গতি এসেছে বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারিতেও
চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম এখন পুরোপুরি স্বাভাবিক। আমদানিকারক এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা আগের মতোই কাজ করছেন।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জানান, কারফিউ পরিস্থিতির মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরসহ সড়ক মহাসড়কে পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক ও নিরাপদ রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পণ্য পরিবহনের সাথে সংশ্লিষ্ট পরিবহন শ্রমিকরা কারফিউ চলাকালীন সময়ে চলাচলের তাদের পরিচয়পত্র কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্সকে কারফিউ পাস হিসেবে বিবেচনা করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যে কোন প্রয়োজনে জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমের নম্বরে (০২-৪১৩৬০৬০৪) যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।