নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় মো. রানা (৩৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে সোনারগাঁও উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি উপজেলার মাঝের চর এলাকার সোহরাব মেম্বারের ছেলে। নিহত নজরুল ইসলাম সোনারগাঁওয়ের নোয়াগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সম্পাদক ও চর নোয়াগাঁও গ্রামের শফেদ আলী ভূঁইয়ার ছেলে।
র্যাব-১১ মিডিয়া অফিসার (এএসপি) সনদ বড়ুয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, নজরুল ইসলাম গত ২৫ জানুয়ারি বিকেলে রূপগঞ্জের ভূলতা-গাউছিয়া এলাকায় ব্যবসায়ীক কাজে যাচ্ছিলেন। উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মাঝের চর বাসস্ট্যান্ডে গাউছিয়া যাওয়ার জন্য অটোরিকশায় ওঠেন তিনি। দীর্ঘ সময় কোনো যাত্রী না ওঠার কারণে তিনি অটোরিকশা থেকে নেমে অন্য আরেকটি গাড়িতে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করেন।
অটোরিকশা থেকে নেমে যাওয়ার কারণে লাইনম্যান জাকির হোসেন ও অটোচালক দায়েন ও রানার সঙ্গে তর্ক ও ধস্তাধস্তি হয় নজরুল ইসলামের। এক পর্যায়ে লাইনম্যান জাকির হোসেন, দায়েন ও রানা লাঠি দিয়ে নজরুল ইসলামের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। তাদের সঙ্গে স্ট্যান্ডের অন্য অটোচালকরাও ভুক্তভোগীকে মারধর করেন। তাদের পিটুনিতে ঘটনাস্থলেই নজরুল ইসলাম অচেতন হয়ে যান। পরে আড়াইহাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নজরুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।
র্যাব জানায়, এই ঘটনায় পরদিন রাতে নিহতের স্ত্রী আসমা আক্তার বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় মাঝের চর সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডের লাইনম্যান জাকির হোসেন, দায়েন ও রানাসহ ৭জনের নাম উল্লেখ করা হয়। পাঁচজনকে নাম না জানা আসামি করা হয়। আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য সোনারগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।