তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, লন্ডনে বসবাসরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে পাঁচ মামলার সাজা কার্যকর করা হবে। এ জন্য ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যে মামলার রায়ের পর বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করে কর্মসূচি দিয়েছে সেই মামলা কিন্তু আমাদের সরকার দায়ের করেনি। মামলাটি ২০০৭ সালে তাদের পছন্দের তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়ের করেছে। ইয়াজউদ্দিন সাহেব খালেদা জিয়ার দলের মানুষ ছিলেন। তাকে খালেদা জিয়া ও বিএনপি রাষ্ট্রপতি বানিয়েছিল। ফখরুদ্দিন সাহেবকে ওয়াশিংটন থেকে ধরে এনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা করা হয়েছিল। সেই সরকার সেনা সমর্থিত ছিল। তখন যিনি সেনাপ্রধান ছিলেন সাতজনকে ডিঙ্গিয়ে খালেদা জিয়া সেনাবাহিনীর প্রধান বানিয়েছিলেন। তাদের পছন্দের মানুষরাই যখন ক্ষমতায় তখন এই মামলা হয়।
তিনি বলেন, আমাদের সরকার যদি প্রতিহিংসাপরায়ণ হতো তাহলে আমরা মামলা করতাম। আর মামলার রায় হওয়ার জন্য ১৪ বছর অপেক্ষা করতে হতো না।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আইন-আদালতের ওপর কোনো আস্থা নেই। তারা কোনো কিছুকেই তোয়াক্কা করে না। শুধু বিদেশিদের কাছে যায়। আমরা বিদেশিদের কাছে যাই না, বিদেশিরা প্রয়োজনে আমাদের কাছে আসে। আদালতের রায় অনুসারে তারেক রহমানের কোনো বক্তব্য পত্র-পত্রিকা বা টেলিভিশনে প্রচার করা যাবে না। প্রধান সারির গণমাধ্যম তারেক রহমানের কোনো বক্তব্য প্রচার করে না। মাঝে মধ্যে ভুল করে কেউ কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করে। আমি মনে করি এগুলো হচ্ছিল বিধায় আদালত আবার সাপ্লিমেন্টারি রায় দিয়েছে।