করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চট্টগ্রামে চিকিৎসা-সুবিধা আরো বাড়ানোর ওপর স্বাস্থ্যসেবা বিশেষজ্ঞরা গুরুত্ব আরোপ করেছেন। সরকারি হাসপাতাগুলোতে আরো অধিক সংখ্যক আইসিইউ বেড চালু এবং বন্ধ হয়ে যাওয়া করোনা আইসোলেশন সেন্টারগুলো পুনরায় চালু করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘চট্টগ্রামের সরকারি হাসপাতালে এ মুহূর্তে কোভিড রোগীদের জন্য ৩০টি আইসিইউ শয্যা আছে। এর মধ্যে জেনারেল হাসপাতালে ১০ টি, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০টি এবং হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালে ১০টি। হলি ক্রিসেন্টের আইসিইউতে ভেন্টিলেটর না থাকলেও ভেন্টিলেটর ছাড়াই এগুলো ব্যবহার করা যাবে। তবে, হলি ক্রিসেন্টের আইসিইউ’তে আপাতত রোগী ভর্তি নেয়া হচ্ছে না।
কারণ, চমেক ও জেনারেল হাসপাতাল দিয়ে প্রয়োজন মেটানো যাচ্ছে। হলি ক্রিসেন্টের আইসিইউ পূর্ণমাত্রায় চালু করতে হলে সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও এক্সপার্ট নার্স দিতে হবে। প্রয়োজন হলে আমরা সব লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে সেখানকার ১০ টি বেড খুব কম সময়ের মধ্যে চালু করতে পারবো।’
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান জানান, ‘গত কয়েকদিন ধরে আবারো আইসিইউ সিটের সংকট তৈরি হয়েছে। চমেক ও জেনারেল হাসপাতালের একটি সিটও খালি নেই। এ অবস্থায় আইসিইউ সুবিধা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। জেনারেল হাসপাতালে ভেন্টিলেটরযুক্ত আরো আটটি আইসিইউ বেড আছে। আটটি মনিটর লাগালেই এগুলো সক্রিয় করা যাবে।’
তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বেশ কিছু ডাক্তারও করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি’র পরিচালক প্রফেসর ডা. এমএ হাসান, বিএমএ চট্টগ্রামের সভাপতি প্রফেসর ডা. মুজিবুল হক খান, শিশু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. বাসনা মুহুরীসহ সিনিয়র-জুনিয়র কয়েকজন চিকিৎসক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে, চিকিৎসকদের সুরক্ষায়ও পর্যাপ্ত সহযোগিতা দিতে হবে।’ (সুত্র:বাসস)