গণমাধ্যমের অগ্রযাত্রায় স্বাধীনতা ও দায়িত্বশীলতা উভয়ই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল দিবস উপলক্ষে আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে প্রেস কাউন্সিল মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। প্রেস কাউন্সিল প্যানেল চেয়ারম্যান এডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ও তথ্যসচিব খাজা মিয়া এবং প্রেস কাউন্সিল সদস্যদের মধ্যে সিনিয়র সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু বক্তব্য রাখেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং গণমাধ্যম যাতে সমাজের দর্পণ হিসেবে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে, ভুল এবং অসত্য সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকে এবং সেটি হলে যাতে প্রতিকার হয়, সেই লক্ষ্য নিয়েই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরপরই ১৯৭৪ সালে প্রেস কাউন্সিল গঠন করেছিলেন। প্রেস কাউন্সিল তখন থেকেই অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।
আজকে প্রেস কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠাবর্ষিকী এবং ২০১৭ সালে এ দিনটিকে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয় উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘একটি বহুমাত্রিক সমাজ ব্যবস্থা গঠনের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আমরা অবাধ তথ্যপ্রবাহ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে বিশ্বাসী। সেই বিশ্বাস রেখেই আজকে রাষ্ট্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে এবং গত ১২ বছরে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে। মনে রাখতে হবে, স্বাধীনতার সাথে আসে দায়িত্বশীলতা। একজনের স্বাধীনতাকে যেন অপরের স্বাধীনতাকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে, অপরের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর যেন হস্তক্ষেপ না করে, তা নিশ্চিত করতে হবে।’
প্রেস কাউন্সিলের ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আমরা প্রেস কাউন্সিল আইন সংশোধন করতে যাচ্ছি, যাতে প্রেস কাউন্সিল বাস্তবতার নিরিখে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে, তাদেরকে যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তা সুচারুভাবে পালন করতে পারে, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং দায়িত্বশীলতা দু’টিই নিশ্চিত করতে পারে, বলেন তথ্যমন্ত্রী।