করোনা পরিস্থিতির কারণে এবছরও ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি চাকরিপ্রার্থীদের বয়সে ছাড় দিতে যাচ্ছে সরকার বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় শিগগিরই বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে বয়সে ছাড় দিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিতে নির্দেশনা দেবে বলেও জানান তিনি।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জানান, করোনায় বিধিনিষেধের কারণে চাকরিপ্রার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে চেষ্টা করবো। বয়সটা যাতে ছাড় দেওয়া হয় সেই পদক্ষেপ আমরা নেবো।
তিনি বলেন, যে সময়টা তাদের লস হয়েছে, যখন যে সময় বিজ্ঞপ্তি হওয়ার কথা ছিল, আগের সময় ধরেই পরবর্তীকালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে বয়সে ছাড় দিয়ে সেই সময়টা পুষিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা দেব। পরিস্থিতি স্বাভবিক হলে আমরা এ বিষয়ে নির্দেশনা দেবো।
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে তা ৩২ বছর। করোনা মাহামারির প্রথম দফায় সাধারণ ছুটির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত চাকরি প্রার্থীদের বয়সের ক্ষেত্রে ছাড় দেয় সরকার। করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণেও আটকে গেছে অনেক চাকরি পরীক্ষা। আর এই সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত চাকরি প্রার্থীদের বয়সের ক্ষেত্রেও ছাড় দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর আগে গত ২৫ মার্চ যাদের বয়স ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছিল তাদের পরবর্তী ৫ মাস, অর্থাৎ আগস্ট পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে আবেদনের সুযোগ দেয়া হয়। কিন্তু এ বছর এপ্রিল থেকে ফের লকডাউন চলছে। মন্ত্রণালয়, বিভাগ কিংবা সংস্থাগুলো চাকরির জন্য বিজ্ঞপ্তি দিতে পারছে না।
এদিকে, করোনা মহামারি বেকারত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। কয়েক লাখ চাকরি প্রার্থীর ন্যূনতম বয়স লকডাউনের মধ্যে চলে গেছে বলে জানিয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের বয়স বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনরত সংগঠনগুলো।