নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ২০তম জাতীয় নবান্ন উৎসব ১৪২৫। জাতীয় নবান্ন উৎসব উৎযাপন পর্ষদের আয়োজনের আজ ছিল ২য় দিন। আয়োজকরা বলছেন ভবিষ্যতে এর পরিধি আরো বাড়াতে কাজ করবেন তারা।
হেমন্তের এই সময়টাতে কাটা হয় আমন ধান। ধান কাটার পর সেই ধানের চাল থেকে তৈরি হবে পায়েস,পিঠাসহ মুখরোচক সব খাবার। গ্রাম বাংলার চিরায়ত এই ঐতিহ্যের নাম নবান্ন উৎসব। হাজার বছর ধরে এই ঐতিহ্য লালন করে আসছেন আমাদের গ্রামীণ সমাজ। কিন্তু, ইট-পাথরের ব্যস্তময় এই নগর জীবনে নেই কোন নবান্নের ছাপ। নবান্ন যেন আটকে আছে শুধু বইয়ের পাতাতেই। শহুরে জীবনে তাই কিছুটা হলেও গ্রামীণ সমাজের আমেজ আনতে জাতীয় নবান্ন উৎসব কমিটির আয়জনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বকুলতলায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ২০তম নবান্ন উৎসব।
উৎসবের পুরোটা জুড়ে ছিল চিএাঙ্কান,নাচ,গান,কবিতা-আবৃওি সহ নানা আয়োজন।
ছুটির দিনে নবান্নের স্বাদ পেতে শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই ভিড় জমিয়েছেন প্রানের নবান্ন উৎসবে। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করতে পেরে উচ্ছাস প্রকাশ করেছে শিশুরা। সেই সাথে খুশি অভিভাবকরাও।
আয়োজন নিয়ে সন্তুষ্ঠি প্রকাশ করেছেন আয়োজকরা। আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক শাহরিয়ার সালাম , ‘পহেলা অগ্রাহায়ণকে জাতীয় নবান্ন উৎসব দিবস ও সরকারী ছুটির ঘোষণার দাবি জানান”
শহরের এই ব্যস্তময় জিবনে আমরা যেন ভুলে না যাই আমাদের ঐতিহ্যকে। আপন সত্তাকে ফিরে পেতে তাই দিন দিন বাড়বে এই উৎসবের পরিধি এমনটাই আশা অনুষ্ঠানে আসা দর্শনার্থীদের।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি