কিশোরগঞ্জে আগুনে পুড়িয়ে দুইজনকে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, হাসান মাহমুদ ও কিশোরগঞ্জের সাবেক চার সংসদ সদস্যসহ মোট ৮৮ জনের নামে একটি মামলা হয়েছে। এছাড়াও এ মামলায় অজ্ঞাত আরও ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শুক্রবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মো. মতিউর রহমান নামের এক ব্যক্তি বাদি হয়ে এ মামলাটি করেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট দুপুর ২টার দিকে ছাত্র-জনতা বৈষম্যবিরোধী মিছিল নিয়ে কিশোরগঞ্জ শহরের স্টেশন রোডে জড়ো হলে আসামিরা বেআইনিভাবে দা-রামদা, কিরিচ, বল্লম, লোহার রড, হকিস্টিক, হেইন্ড মেইড পেট্রোল বোমা, ককটেল, পাইপগান, শর্টগান, পিস্তল ইত্যাদি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আওয়ামী লীগ অফিসের দিক থেকে হামলা করে।
আসামি রাসেল আহমেদ তুহিন, শফিকুল আলম, শফিকুল ইসলাম লিমন ঢালি, আল জুবায়েদ খান নিয়াজ, মাহফুজ, ফয়েজ ওমান খান, সাইফুল ইসলাম অপু, মাজহারুল ইসলাম মাসুদ, তৌফিক, সানা, মুরসালিন খান, তাজবীর, সুমন মোল্লা, আমিনুল ইসলাম বকুল, আনোয়ার হোসেন বাচ্চু তাদের হাতে থাকা শর্টগান, পাইপগান দিয়ে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যার উদ্দেশ্যে সরাসরি গুলি করে। এতে মামলার বাদীসহ ছাত্র-জনতা আহত হয়ে জীবন বাঁচাতে দৌড়াতে থাকে। পরে পার্শ্ববর্তী খরমপট্টি সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুর বাসার ভেতরে ও সামনের রাস্তায় আশ্রয় নেয় তারা। খবর পেয়ে আসামিরা অস্ত্র নিয়ে বাদীসহ ছাত্র জনতার পিছু ধাওয়া করে।
একপর্যায়ে আসামির হাতে থাকা কনটেইনার থেকে পেট্রোল ঢেলে ওই বাসায় আগুন দেয়। এতে বাসায় থাকা জুলকার হোসাইন (৩৮) ও অঞ্জনা (২৮) আগুনে পুড়ে মারা যায়।