পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাজ্যের সচিবালয় ‘নবান্ন’ ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের এই কর্মসূচি ঘিরে কলকাতায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচি ঠেকাতে পুরো শহরে ছয় হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গড়া হয়েছে তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা বলয়।
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের নবান্ন অভিযান সামনে রেখে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কলকাতা পুলিশ। এই নবান্ন ভবন হলো পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সচিবালয়। এখান থেকেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার কাজ করে। এখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিসহ অন্যান্য শীর্ষ মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের অফিস রয়েছে।
এর আগে সোমবার (২৫ আগস্ট) মমতার পদত্যাগের দাবিতে সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেয় অরাজনৈতিক ছাত্রগোষ্ঠী ছাত্র সমাজ। আরজিকর কাণ্ডের দোষীদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি এবং রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এই অভিযানের ডাক দেয়া হয়।
এ অভিযান ঘিরে গতকাল থেকেই কলকাতার রাজনৈতিক মহলে টানটান উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সতর্ক অবস্থানে যায় রাজ্য প্রশাসন। পুলিশের শীর্ষ কর্তারা মনে করছেন, আজ নবান্ন অভিযানের নামে শহরজুড়ে তাণ্ডব চলতে পারে। এমন আশঙ্কায় রাজ্যের সচিবালয় ও লাগোয়া এলাকাকে কার্যত দুর্গে পরিণত করার পরিকল্পনা নেয় রাজ্য পুলিশ। ছয় হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তাদের নেতৃত্বে রয়েছে আইজি, ডিআইজির মতো পুলিসের শীর্ষ পদাধিকারীরা।
কলকাতা পুলিশ বলছে, পশ্চিমবঙ্গের সুনাগরিকদের ক্ষোভের অপব্যবহার করে মঙ্গলবার শহরে নৈরাজ্য সৃষ্টির ষড়যন্ত্রের প্রমাণ পেয়েছেন তারা।
এদিকে নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে কলকাতার রাজনীতির পারদ বেশ চড়েছে। এই অভিযানের পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। তবে বিজেপির দাবি, চাপের মুখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় টিকে থাকতে সবশেষ পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন।