আট হত্যা মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ৪৩ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে এই আটজন নিহত হয়েছিলেন।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভিন্ন ভিন্ন মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মোহাম্মদপুরে মুদি দোকানদার আবু সায়েদ হত্যার অভিযোগে করা মামলায় পরদিন তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় মোহাম্মদ ইসমামুল হক নামে এক কিশোরকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এর বাইরেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে সাকিব হাসান নিহতের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় করা মামলায় মামুনের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
যাত্রাবাড়ী থানায় নিহত ইমন হোসেন গাজীর হত্যা মামলায় তার আরও সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। অন্য একজন নিহত ইরফান ভূঁইয়ার হত্যা মামলায় তার পাঁচ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়। আরেকজন মুনতাসির রহমান নিহতের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় করা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এ ছাড়াও ভ্যানচালক সুজন নিহতের ঘটনায় পাঁচ দিনের রিমান্ড, রফিকুল ইসলাম নিহতের ঘটনায় চার দিনের রিমান্ড, মাহমুদুল হাসান জয়ের নিহতের ঘটনায় পাঁচদিনের রিমান্ড, নিউমার্কেট থানার হত্যা মামলায় আব্দুল্লাহ আল-মামুনের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মোট আট হত্যা কাণ্ডের ঘটনায় তাকে ৪৩ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে।
গত ৬ আগস্ট দিবাগত রাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে চৌধুরী আবদুল্লাহ মামুনকে আইজিপি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। প্রজ্ঞাপনে রাষ্ট্রপতির পক্ষে স্বাক্ষর করেন ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পী।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চৌধুরী আবদুল্লাহ মামুনের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিপত্রের অনুচ্ছেদ-৭ অনুযায়ী পুলিশ মহাপরিদর্শক পদ থেকে তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ এতদ্বারা বাতিল করা হলো।