রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মতির ওপর নির্ভর করছে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত। সকালে আগারগাওয়ে ইভিএম নিয়ে ২ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে.এম নুরুল হুদা।
তিনি আরো বলেন, ইভিএমের মাধ্যমে নির্ভূলভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা সম্ভব। তবে এর আগে সরকার ও সংসদের সহায়তায় আইন পাস হতে হবে বলেও মন্তব্য করেন সিইসি।
সরকার যদি আইন করে, পরিবেশ যদি থাকে র্যানডমলি কিছু আসনে ইভিএম ব্যবহারের চেষ্টা করা হবে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, “ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে ভোটার ও রাজনৈতিক মহলে উৎকণ্ঠা থাকা স্বাভাবিক। কারণ আমরা এটির ব্যবহার, উপকারিতা সম্পর্কে এখনও তাদেরকে জানাতে পারিনি। পর্যায়ক্রমে তারা সব জানতে পারবেন। আর যেকোনো উদ্যোগ, নতুন আবিষ্কার বা প্রযুক্তি এলে, তা নিয়ে জানার উৎকণ্ঠা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এটিকে আমরাও ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। যারা ভোট দেবেন বা ট্যাক্স হোল্ডারদের টাকা অপচয় হবে কিনা এটা জানতে চাইবেন, এটাও তো স্বাভাবিক বিষয়।”
নূরুল হুদা বলেন, প্রযুক্তি এখন আর বাক্সে বন্দি নেই। এটি এখন মানুষের হাতে হাতে। মোবাইলের মাধ্যমেই এখন সব তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। তিনি বলেন, ‘ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে হাজার রকমের জিনিসপত্রের প্রয়োজন হয়। চিন্তায় থাকতে হয়, কেন্দ্রে পৌঁছানোর সময় ব্যালট পেপার ছিনতাই হয় কিনা? প্রযুক্তির ব্যবহার হলে এসব চিন্তা দূর হবে। এ ছাড়া নির্বাচন পরিচালনায় ৭০ ভাগ খরচ হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য, সেটিও কমে আসবে।’
এছাড়াও তিনি বলেন, ইভিএম কেনার কোনো তহবিল নির্বাচন কমিশনের কাছে আসবে না। এটি অর্থ মন্ত্রণালয় এবং সরকার দেখবে।
ইটিআইয়’র মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি