ঠাকুরগাঁওয়ের বেশকিছু এলাকায় শুরুর দিকে বৃষ্টিপাত কমসহ আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় রোপণ করা কিছু পাট নষ্ট হয়েছিল। কিন্তু, সকল সমস্যা কাটিয়ে জেলায় এবার পাটের বাম্পার ফলন হওয়ায় বর্তমানে পাট কাটা, জাগ দেয়া, আঁশ ছাড়ানো এবং শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।
বর্তমানে বাজারে মণপ্রতি পাট বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার থেকে ২৫শ’ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু, করোনা পরিস্থিতির কারণে পাট চাষের শুরু থেকে ধোয়া পর্যন্ত তাদের যে খরচ হয়েছে সেই অর্থ উঠাতে পারবেন কিনা তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন তারা। তারপরও গতবারের তুলনায় ভালো দামের আশা করছেন চাষিরা।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক মো. আবু হোসেন বলেন, এবার লক্ষ্যমাত্রার চাইতে অতিরিক্ত জমিতে পাটের চাষ হলেও বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় পাটের মান কিছুটা খারাপ হয়েছে। তবে, পাটচাষকে লাভজনক করতে সর্বক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করার কথা জানালেন তিনি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় চলতি বছর ৬ হাজার ২৯২ হেক্টর জমিতে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও মোট আবাদ হয়েছে ৬ হাজার ৮১৭ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে দেশি জাতের পাট আবাদ হয়েছে ৭১৭ হেক্টর ও তোষা জাতের পাটের আবাদ হয়েছে ৬ হাজার ১শ’ হেক্টর জমিতে।