হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং তার সফরসঙ্গীদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার শোক মিছিলে হাজার হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন। মঙ্গলবার দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজের একটি কেন্দ্রীয় স্থানে অনেক মানুষ জড়ো হয়ে প্রয়াত প্রেসিডেন্টকে স্মরণ করছেন, শোক জানাচ্ছেন।
বার্তাসংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ব্যারনস জানিয়েছে, হাজার হাজার শোকার্ত মানুষ ইরানের পতাকা ও রাইসির ছবি হাতে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় চত্ত্বরের দিকে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষ রাইসিকে শ্রদ্ধা জানাবেন।
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মরদেহ এখনো দেশটির রাজধানী তেহরানে নেওয়া হয়নি। রাইসিসহ নিহত সবার মরদেহ গতকাল সোমবার থেকে ইরানের উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলের তাবরিজ শহরেই রাখা হয়েছে। সেখানেই জানাজা হবে। এরপর রাইসির মরদেহ নেওয়া হবে তেহরানে।
আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় গত রোববার (১৯ মে) দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও ছিলেন।
সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদোল্লাহিয়ানসহ অন্য কর্মকর্তারা।
পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী বেল-২১২ মডেলের হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।
প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর সোমবার ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা মেহর নিউজের খবরে বলা হয়, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি দেশটির জনগণের জন্য তাঁর দায়িত্ব পালন করার সময় একটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। তিনি শহীদ হয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদোল্লাহিয়ানসহ অন্য ব্যক্তিরা নিহত হয়েছেন।