ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি এবং সেখানে বন্দি ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে নতুন যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাব পেশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তাকে স্বাগত জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, এই প্রস্তাবের চূড়ান্ত লক্ষ্য হওয়া উচিত মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়ন করা; অর্থাৎ ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন নামের দুটি পৃথক, স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা।
গতকাল সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় এ প্রসঙ্গে ম্যাক্রোঁ বলেন, “গাজায় যুদ্ধ বন্ধ এবং সেখানে বন্দি ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নতুন যে যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন, তাকে আমরা স্বাগত জানাই। আমি আশা করছি যে এই পরিকল্পনায় ইসরায়েল দৃঢ়ভাবে যুক্ত হবে। আর বর্তমান বাস্তবতায় এই প্রস্তাব মেনে নেওয়া এবং অবিলম্বে সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া ছাড়া হামাসের সামনে আর কোনো পথ নেই।”
“তবে আমরা আরও প্রত্যাশা করছি যে ফ্রান্স ও সৌদি আরবের উদ্যোগে জাতিসংঘের ১৪২টি রাষ্ট্র দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে যে রায় দিয়েছে, নতুন এই শান্তি প্রস্তাব তা বাস্তবায়নের পথও খুলে দেবে।”
সোমবার বিকেলের দিকে হোয়াইট হাউসে গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত ২০টি পয়েন্ট সম্বলিত একটি নতুন প্রস্তাব পেশ করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নুতন প্রস্তাবে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর সামরিক অভিযানের অবসানের পাশাপাশি যুদ্ধের পর গাজার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে নিজের নাম প্রস্তাব করেছেন তিনি। পাশাপাশি হামাসকে অস্ত্র সমর্পণ করার শর্তও উল্লেখ করা হয়েছে প্রস্তাবে।
ট্রাম্প বলেন, “আমাদের মিত্র এবং অংশীদারদের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনা আলোচনা শেষে আজ মঙ্গলবার আমি আনুষ্ঠানিকভাবে গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত নতুন প্রস্তাব পেশ করছি; এবং আমি অবশ্যই বলব যে এই প্রস্তাব লোকজন ইতোমধ্যেই পছন্দ করেছে।” সংবাদ সম্মেলনের আগে নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেছেন ট্রাম্প। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নতুন প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন তিনি।
গত ২২ সেপ্টেম্বর ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে জাতিসংঘের সাধঅরণ পরিষদে বৈশ্বিক সম্মেলনের আয়োজন করেছিল ফ্রান্স ও সৌদি আরব। জাতিসংঘের ১৪২টি সদস্যরাষ্ট্র সেই সম্মেলনে অংশ নিলেও যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সেই সম্মেলন বয়কট করেছিল।