সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। আগামী ৪ জুলাই দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, যা প্রত্যাশিত সময়ের চেয়ে আগে।
ভোটের সময় ও নির্বাচনী ইস্যুসহ একাধিক কারণে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচন।
ভোটের ময়দানে লড়তে আসা প্রতিদ্বন্দ্বীরা আপাতত প্রচারে ব্যস্ত। এরই মধ্যে আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে জরিপে উঠে এসেছে বিভিন্ন ট্রেন্ডও। মূলত কনজার্ভেটিভ ও লেবার পার্টির মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
যুক্তরাজ্যে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ হয় পাঁচ বছরের। গতবারে, অর্থাৎ ২০১৯ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল কনজার্ভেটিভ পার্টি। যুক্তরাজ্য ৬৫০টা নির্বাচনী কেন্দ্র বা এলাকায় বিভক্ত। এই প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকার ভোটাররা একজন সংসদ সদস্য নির্বাচন করেন।
নির্বাচনী ময়দানে লড়াই করতে নামা প্রার্থীদের মধ্যে অধিকাংশ কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। তবে কেউ কেউ আবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবেও ভোটে লড়েন।
সাম্প্রতিক জনমত জরিপ বলছে, নির্বাচনি প্রচারের শুরু থেকেই সুনাকের কনজার্ভেটিভ পার্টি তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী লেবার পার্টির থেকে বেশ খানিকটা পিছিয়ে।
জরিপ অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত অভিবাসনবিরোধী ডানপন্থি দল রিফর্ম ইউকে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। কিন্তু তাদের সমর্থন সারা দেশে সমানভাবে ছড়িয়ে রয়েছে। ফলে সেই সমর্থনকে সংসদের আসনে পরিণত করা কঠিন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
৪৪ বছরের ঋষি সুনাক কনজার্ভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ২০২২ সালে যখন তিনি প্রধানমন্ত্রী হন তখন তার বয়স ছিল ৪২। আধুনিক সময়ে ব্রিটেনের সবচেয়ে কম বয়সের প্রধানমন্ত্রী সুনাক।
অন্যদিকে লেবার পার্টির নেতৃত্বে রয়েছেন স্যার কিয়ের স্টারমার। তার বয়স ৬১ বছর। ২০২০ সালে জেরেমি করবিনের পর দলের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নির্বাচিত হন তিনি।
এর আগে ‘ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিস’-এর প্রধান ছিলেন স্টারমার। পাবলিক প্রসিকিউশনের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।